অবতক খবর: মালদহের পাকুয়াহাটে নারী নিগ্রহের ঘটনায় বামনগোলা থানার আইসি জয়দেব মুখোপাধ্যায় ও পাকুয়াহাট পুলিশ ফাঁড়ির ওসি রাকেশ বিশ্বাস ও একজন এসআই, একজন এএসআই’কে ‘ক্লোজ’ করল রাজ্য প্রশাসন।

সম্প্রতি দুই মহিলাকে জুতো পেটা, বিবস্ত্র করে মারধরের ঘটনায় রাজ্য রাজনীতি উত্তাল হয়েছে। বিজেপির মহিলা মোর্চা প্রতিবাদে রাস্তায় নেমেছে। পাল্টা মণিপুরে দুই মহিলাকে গণধর্ষণ করে বিবস্ত্র করে রাস্তায় ঘোরানোর ইস্যুতে তৃণমূলের মহিলা সেল প্রতিবাদে রাস্তায় নামে।

প্রসঙ্গত, ১৮ জুলাই মালদহের বামনগোলা থানা এলাকায় দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে মারধর ও জুতো পেটা করা হয়। ২৩ জুলাই সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে সোশ্যাল মিডিয়ায়। জেলা পুলিশ মহলে তোলপাড় শুরু হয়ে যায়। ভিডিওটির কিছু অংশ টুইট করে রাজ্যের তথা মালদহের আইন-শৃঙ্খলা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন বিজেপির কয়েকজন নেতা।

জেলা বিজেপির তরফে দাবি করা হয়, যে ভিডিওটি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে তা মালদহের বামনগোলা থানার পাকুয়াহাট এলাকার। এই ঘটনার পর ওইদিন দুপুরে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এবং ডেপুটি পুলিশ সুপার বামনগোলায় ছুটে যান। দুপুরে বামনগোলায় পৌঁছে ঘটনার তদন্ত শুরু করেন মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব।

দুপুরেই মালদহ উত্তরের বিজেপি সাংসদ খগেন মুর্মুর নেতৃত্বে ওই দলের তরফে কয়েকশো কর্মী এই ঘটনার নিন্দা করে জেলা পুলিশ সুপারের দফতরের সামনে অবস্থান বিক্ষোভ শুরু করেন। বিজেপির অভিযোগ, বামনগোলার পাকুয়াহাটে দুই মহিলাকে চোর সন্দেহে বিবস্ত্র করে নির্মমভাবে পেটানো হয়। কিন্তু পুলিশ কোনও ব্যবস্থাই নেয়নি। উলটে ওই দুই মহিলাকেই ফাঁড়িতে ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা দিয়ে জেলে পাঠিয়েছে পুলিশ। পরবর্তীতে আদালত থেকে জামিন পান তাঁরা।