অবতক খবর,২১ নভেম্বর,নববারাকপুর: পশ্চিমবঙ্গ তপসিলী জাতি আদিবাসী সমাজকল্যাণ সংস্থা একটি সম্পূর্ণ অরাজনৈতিক সামাজিক সংগঠন। তপসিলী জাতি আদিবাসী সমাজ ও জনগণের সামগ্রিক উন্নতিসাধন করাই এই সংস্থার প্রধান মূল উদ্দেশ্য। নিবন্ধনকৃত ০৪-০৫-১৯৭৯।নিউ বারাকপুর সতীনসেন নগর ডঃ বি আর আম্বেদকর রোডে কমবেশি আড়াই কাঠা জমিতে গড়ে তোলা হয় আম্বেদকর দ্বিতল ভবন।

সংস্থার ঘোষণাপত্র ও গঠণতন্র নিয়মাবলি লিখিত ভাবে বলা রয়েছে কেন্দ্রীয় কার্য নির্বাহক কমিটির সাংবিধানিক প্রধান হলেন সভাপতি। সাধারণ সম্পাদক ও নির্বাচিত ১৫ জন সদস্য দ্বারা কার্য নির্বাহক কমিটি গঠিত হয়। সংস্থার কোন প্রকার অনিয়ম দেখা দিলে তার দায় দায়িত্ব সমগ্র কমিটি সহ সভাপতির উপর বর্তায়। সংস্থার বয়স ৪৩ বছর। অনৈতিক ভাবে নীতি বর্হিভূত অন্যায় কাজ করে চলেছেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অভিযোগ সংস্থার বর্ষীয়ান প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি গুরুপদ সরকারের। সংস্থার ঘরবাড়ি অবৈধ ভাবে ভাড়া দিয়ে রেখেছেন এবং ভাড়া বাবদ আদায় কৃত অর্থের কোন প্রকার হিসাব জমা করেননি কোষাধ্যক্ষের কাছে।বর্তমানে আম্বেদকর ভবনের চেহারা দেখলে মনে হবে কোন গৃহস্থের ঘরে ঢুকে পরেছি,প্রবেশ পথে রান্নাঘর সেজে উঠেছে,যাবতীয় রান্নার সরঞ্জাম সেখানে রাখা রয়েছে,পাশেই ঘরভাড়া দেওয়া আছে।যারা আছে তাদের বাড়ি হাওড়ায়,এখানে কম্পিউটারের কোন কোর্স করছে বলে ঘরভাড়া নিয়ে রয়েছে।অভিযোগ বিগত সাত বছর ধরে বার্ষিক আয় ব্যয়ের হিসাব দাখিল করেন নি। জমির দলিল, স্টক রেজিস্টার সহ সমস্ত হিসাবের বই, ব্যাঙ্কের যাবতীয় নথি, পাসবই সদস্য দের বই, মেম্বার শিপ বই সংস্থার ঘর ও আলমারির চাবি পর্যন্ত সাধারণ সম্পাদক তার নিজের হেফাজতে রেখেছেন দীর্ঘদিন যাবৎ। পাশাপাশি আর ও অভিযোগ সাধারণ সম্পাদক তার কিছু নিজস্ব ব্যক্তিগত সংস্থার নাম ভাঙিয়ে তাদের কাজকর্ম তপসিলী জাতি আদিবাসী সমাজকল্যাণ সংস্থার নাম করে আম্বেদকর ভবন থেকে করে চলেছেন। যার কোনো অনুমতি তিনি কার্যকরী কমিটি এবং সংস্থার সভাপতির কাছ থেকে ও কোনদিন কোনরকম অনুমতি বিহীন ভাবে চালিয়ে ছেন। বিভিন্ন সময়ে কার্যকরী কমিটির সদস্য দের অন্যায় ভাবে রেজিস্টার বুকে সই করিয়েছেন এমনকি সভাপতি কে ব্লাঙ্ক চেকে এর পাতায় সই করিয়ে নিয়েছেন সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বিশ্বাস। এবং সেই চেকের আজ ও কোন প্রকার হিসাবে দাখিল করেননি। কোনদিন কার্য নির্বাহক কমিটির সভাও পর্যন্ত করেননি। নির্বাচিত কোষাধ্যক্ষ কে কোন কাজ করতে দেওয়া হয় নি বিগত সাত বছরে বলে ও অভিযোগ দিলিপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।ভবন নির্মাণে মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যের তিন লক্ষাধিক টাকার অনুদান অর্থ অপব্যবহার ও করেছেন বলে গুরুতর অভিযোগ সাধারণ সম্পাদক দিলীপ বিশ্বাসের বিরুদ্ধে।

তৎকালীন আম্বেদকর মিশনের সভাপতি প্রয়াত জীবন কৃষ্ণ মজুমদার কেও মারধর করেছেন। সংস্থার প্রাক্তন সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী বিনোদ বিহারী বিশ্বাস কে ও বাড়িতে গিয়ে শারীরিক ভাবে হেনস্তা করেছেন দিলীপ বিশ্বাস। পুলিশ কেস তুলে নিলেও সভাপতি কে বাড়িতে গিয়ে ভয় ভীতি প্রদর্শন করেছেন সংস্থার সাধারণ সম্পাদক। আম্বেদকর ভবন কে সামনে রেখে বেশ কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার গড়ে তুলে বহু অর্থ আত্মসাৎ করেছেন প্রভাবশালী আমলা। আর্থিক তছরুপ করেছেন বলে অভিযোগ রবিবার বিশেষ সাধারণ সভায় সংস্থার কার্যকরী কমিটির সদস্য রাও সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে অনৈতিক অনিয়ম বর্হিভূত কাজকর্মে। ক্ষোভ উগরে দেন। উপস্থিত ছিলেন পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস, পুর প্রতিনিধি মনোজ সরকার, শোভা রায় সহ সংস্থার সদস্যরা।পুরপ্রধান প্রবীর সাহা বলেন যত বার আম্বেদকর ভবন অনুষ্ঠানে এসেছেন নতুন প্রজন্মের ছেলে মেয়েদের সংখ্যা খুবই কম। পশ্চিমবঙ্গ সরকার তপসিলী জাতি আদিবাসী সমাজকল্যাণ সংস্থার মানুষের জন্য নানাবিধ উন্নয়নের কাজ করে চলেছেন। শুধু ভবন নির্মাণ আলাপ আলোচনা ব্যক্তিগত পর্যায়ে। তপসিলী দের অন্তর্ভুক্ত করনে সমৃদ্ধি লাভ পাচ্ছে কিনা দেখতে হবে। ভাবনা চিন্তা করুন সাংগঠনিক ভাবে। আয় ব্যয়ের হিসেবে ষাট উর্ধ্বে মানুষের মধ্যে অসাংবিধানিক ভাষা ব্যবহার সঠিক নয়। সংগঠন শ্রী বৃদ্ধি হবে না। এছাড়া ও বক্তব্য রাখেন কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য দীপেশ অধিকারী, রনজিৎ দাস, শুক্লা মিস্ত্রি, প্রনব মজুমদার, কল্যাণ বিশ্বাস, সুবির বিশ্বাস প্রমুখ ।শাসক দলের নেতা দের সামনে ঘুরে বেড়াচ্ছে ছদ্মবেশে। সরকারি কর্মী। স্ত্রী শিক্ষিকা। ছেলে আইনজীবী পড়ছে।একধিক ডিগ্রি ধারী অর্জন আমলার প্রশ্ন উঠেছে।সরকারি সংস্থার আড়ালে বেনামে ব্যাঙের ছাতার মতো এক ঝাঁক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন গড়ে তুলে নিজের নামে বহু তছরুপ অভিযোগ রয়েছে দিলীপ বাবুর বিরুদ্ধে।বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়,গত সাত বছরের যাবতীয় হিসাব দ্রুত দিতে হবে তাকে,এবং বর্তমান কমিটি ভেঙে নতুন কমিটি তৈরি হবে।সংগঠন সভাপতি সাফ কথা তরুন সমাজ এগিয়ে এসে সংস্থার হাল ধরুক। এক মাসের মধ্যে নতুন ভাবে।অভিযুক্ত দিলিপ বাবু বিশেষ সভায় সাংবাদিক দের কোন উত্তর না দিয়ে এড়িয়ে চলে যান এদিন।