অবতক খবর,১৯ এপ্রিল,কেশপুর: গ্রীষ্মের দাবদাহের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে নোটিশ করে এক সপ্তাহ ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। ছুটি থাকাকালীন বেশ কয়েকটি স্কুলে চলছে পরীক্ষা। কেশপুর ব্লকের চার নম্বর অঞ্চলের অন্তর্গত মহিষাগাড়া হাই মাদ্রাসাতে চলছে পরীক্ষা। পরীক্ষার হলের মধ্যেই দেদার চলছে মোবাইল নিয়ে টুকলি! শিক্ষকরা নিজে সাহায্য করছেন ছাত্রদেরকে টুকলি করতে! এমনই ছবি মহিছাগেড়া হাই মাদ্রাসার।

খবর করতে গেলে সংবাদমাধ্যমকে হুমকি দেয় বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা! পরীক্ষার হলের মধ্যে চলছে দেদার টুকলি এবং অ্যাকাউন্ট নাম্বার মিলিয়ে রিসিভকরা। সেই ছবি ক্যামেরায় ধরা পড়তেই তেড়ে আছে সংবাদ মাধ্যমের দিকে। কিছুক্ষণ পর কেরে নেওয়া হয় সংবাদ মাধ্যমের ক্যামেরা, বুম, মোটর বাইকের ছবি সঙ্গে থাকা সাংবাদিকের বাগ। দীর্ঘ এক ঘণ্টার পর আটকে রাখা হয় সাংবাদিককে। গলার কলার ধরে চলে শাসানি।

মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে রেখে দেওয়া হয়, হুমকি সুরে চলে অকথ্য গালাগাল। জোর করে মোবাইলে সাংবাদিকের ছবি তুলতে থাকে তারা, নিজেদের দুর্বলতা ঢাকতে সংবাদিক জোর করে বলাতে থাকে দশ হাজার টাকা চেয়েছি তাদের কাছ থেকে। চলে মারধোর ঘুষি! মোবাইল ফোন কেড়ে নিয়ে ফুটেজ ডিলিট করার চেষ্টা করা হয় বারবার। শেষ আবার এই হুমকি দিতে থাকে এই খবর যদি সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয় তাহলে প্রাণে মেরে ফেলা হবে উক্ত সাংবাদিককে।

অতঃপর দুপুর একটা চল্লিশ নাগাদ, কোন এক মহল থেকে শিক্ষকদের কাছে একটি ফোন আসে, তারপরে একে একে ফেরত দিতে থাকে মোবাইল, ব্যাগ এবং বুম মোটরসাইকেলের চাবি। বাড়ি ফেরার সময় জোর করে ভিডিও রেকর্ড করে বলানোর চেষ্টা চলে যে তাকে তারা আটকে রাখেননি এই প্রতিশ্রুতি না দিলে ছাড়বেন না। প্রশ্ন উঠেছে সংবাদ মাধ্যম সত্য খবর প্রকাশ করলেই কেন এত গোসা!