অবতক খবর,২০ মার্চ,জ্যোতির্ময় মন্ডল,পূর্ব বর্ধমানঃ সাংসদ তহবিলের টাকায় শ্মশান সংস্কার ও শবযাত্রী প্রতীক্ষালয় নির্মাণে জায়গা পরিদর্শনে মন্তেশ্বর ব্লকের মন্তেশ্বর অঞ্চলের লোহার গ্রামে আজ বিকালে এসে উন্নয়ন নিয়ে গাফলিতির অভিযোগ তুললেন বর্ধমান দুর্গাপুর লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ সুরিন্দর অহলুওয়ালিয়া। তার দাবি এলাকায় বড় বড় গ্রাম থাকলেও গড়ে ওঠেনি শ্মশান। অস্থায়ী শ্মশানগুলোতেও নেই যাবার কোন রাস্তা। পঞ্চায়েতের উন্নয়নের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তুলেছেন তিনি। এলাকার উন্নয়নের জন্য তার দাবি চতুর্দশ অর্থ কমিশনের পর্যাপ্ত টাকা আসছে কিন্তু সেভাবে উন্নয়ন চোখে পড়ছে না। পাশাপাশি তার অভিযোগ লোহার গ্রামে শ্মশান সংস্কার ও শবযাত্রীর প্রতীক্ষালয় নির্মাণের জন্য টাকা বরাদ্দ করা হলেও প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ঠিকমতো জমা না করায় কাজ শুরু করতে দেরি হচ্ছে।

যদিও সাংসদের অভিযোগকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন লোহার গ্রামের বাসিন্দা তথা মন্তেশ্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম। তার অভিযোগ , বছরে দুই একবার পরিযায়ী পাখির মত দুই দশ মিনিটের জন্য আসেন সাংসদ। তাই এলাকার উন্নয়ন ওনার চোখে পড়ে না। উপপ্রধানের দাবি , মন্তেশ্বর, লোহার এবং সাহাপুর গ্রামের শ্মশানের জায়গার কাগজপত্র মাসখানেক আগেই জমা করা হয়েছে।

সাংসদ সুরিন্দর সিং আহলুওয়ালিয়া এলাকায় আসে না বলে যে অভিযোগ এনেছেন মন্তেশ্বর গ্রামপঞ্চায়েতের উপপ্রধান রফিকুল ইসলাম । সেই অভিযোগ ভিত্তিহীন বলে দাবি করেছেন মন্তেশ্বর বিধানসভার বিজেপির এক নম্বর মন্ডল কমিটির সভাপতি ঝুলন হাজরা।

শ্মশান সংস্কার ও শবযাত্রীর প্রতীক্ষালয় নির্মাণের জায়গা পরিদর্শনের পাশাপাশি একাকার এলাকার মানুষজনের সঙ্গে কথা বলেন তিনি তাদের অভাব অভিযোগ শুনেন সাংসদ।

এদিনই মেমারি ২ ব্লকের ঝিকরা গ্রামে পরিদর্শনে আসেন সাংসদ। ঘুরে দেখার পাশাপাশি স্থানীয় মানুষজনের সাথে কথা বলেন তিনি। তিনি জানান, ঝিকরা গ্রামে কবরস্থান সংস্কার ও সীমানা প্রাচীর নির্মাণের তার কাছে এলাকার থেকে মানুষের আবেদন জমা পড়েছিল তারই ভিত্তিতে এলাকাটি পরিদর্শনে এসেছেন তিনি। প্রয়োজনীয় নথিপত্র সংগ্রহ করেছেন তিনি। শীঘ্রই কাজ শুরু হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন সাংসদ।