নিজস্বসংবাদদাতা ::অবতাক খবর ::মুম্বাই ::২৭শে জানুয়ারী ::শনিবার ২০২০ সালের পদ্মবিভূষণ, পদ্মভূষণ ও পদ্মশ্রী পুরস্কারপ্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।

৭ জনকে পদ্মবিভূষণ, ১৬ জনকে পদ্মভূষণ ও ১১৮ জনকে পদ্মশ্রী সম্মাননার জন্য নাম প্রকাশ করা হয়। এর ভেতর ‘শিল্প’ বিভাগ থেকে ২৯ জনকে পদ্মশ্রী উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছে।

কঙ্গনার সঙ্গে এই তালিকায় আরও রয়েছেন বলিউডের জনপ্রিয় পরিচালক করণ জোহর, প্রযোজক একতা কাপুর, ছোট পর্দার অভিনয়শিল্পী সারিতা জোশি, গায়ক আদনান সামি, সুরেশ ওয়াদকারসহ আরও অনেকে।

টুইটারে কঙ্গনা রনৌত একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন। সেখানে কঙ্গনা এই সম্মাননার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে বলেন, ‘ভারত সরকারকে ধন্যবাদ। ধন্যবাদ সেসব মানুষকে, যাঁরা আমার যাত্রায় শুরু থেকে পাশে ছিলেন, সমর্থন জুগিয়েছেন। আপনারা ছাড়া এটা সম্ভব হতো না।’

করণ জোহর টুইটারে লিখেছেন, তিনি আপ্লুত। লিখেছেন, ‘আমার জীবনে এমন খুব কমই হয়েছে যে শব্দসমুদ্রে আমি ভাষা হারিয়ে ফেলেছি। আজ তেমন একটি ঘটনা ঘটল। এ মুহূর্তে অসংখ্য অনুভূতি বাঁধ ভেঙে পড়ছে। এই সম্মাননায় আমি কৃতজ্ঞ, অনুপ্রাণিত। যে জীবনযাপনের স্বপ্ন আমি দেখেছি, প্রতিটা দিন আমি সেই জীবন যাপন করেছি।’

করণ জোহরের টুইটারে একবার ঢুঁ দিয়ে দেখা গেল, ভেসে যাচ্ছেন অভিনন্দনবার্তার বন্যায়। বলিউড তারকা কাজল, অনিল কাপুর, জুহি চাওলা, রীতেশ দেশমুখ, ভূমি পেড়নেকার, টুইঙ্কেল খান্না, রাহুল বোসসহ অসংখ্য মানুষ অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, তিনি এই পুরস্কারের যোগ্য দাবিদার।

জীবনের এমন প্রাপ্তিতে করণ জোহরের মনে পড়েছে তাঁর বাবার কথা। তিনি আরও লিখেছেন, ‘বাবা বেঁচে থাকলে নিশ্চয়ই আজ তাঁর এই সন্তানকে নিয়ে গর্ববোধ করতেন। এই গৌরবময় মুহূর্তের ভাগীদার হতেন।’

জীবনের এই অর্জনের প্রতিক্রিয়া জানাতে আদনান সামিও হাতে তুলে নিয়েছেন টুইটার। লিখেছেন, ‘দেশের সরকার যদি কোনো শিল্পের মূল্যায়ন করে, এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি ওই শিল্পীর জন্য আর হয় না। সরকার আমাকে পদ্মশ্রীতে ভূষিত করায় আমি যারপরনাই আপ্লুত। ৩৪ বছর মিউজিক্যাল যাত্রার পর এল এই পরম পাওয়া।’

আনুষ্ঠানিকভাবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কোনো মন্তব্য করেননি একতা কাপুর। টুইটারে তিনি সর্বশেষ পোস্ট করেছেন ২০১৯ সালের ৮ আগস্ট। সেদিন ছিল তাঁর প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান বালাজি ফিল্মসের ২৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও এক টুইটে পুরস্কারপ্রাপ্ত সবাইকে ধন্যবাদ জানিয়ে লিখেছেন, তাঁরা সবাই শিল্প, সাহিত্য, শিক্ষা, চিকিৎসা, বাণিজ্য, খেলাধুলা, সমাজকর্ম, বিজ্ঞান, প্রকৌশল প্রভৃতি ক্ষেত্রে ভারতের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন।