অবতক খবর,৯ জানুয়ারি,বাঁকুড়া:- পঞ্চায়েতের বিভিন্ন প্রকল্পের টাকায় নির্মীয়মান একটি রিসর্টের লিজ নিয়ে তৈরী হল বিতর্ক। বিতর্ক তৈরী হতেই করোনার কারণ দেখিয়ে লিজ প্রত্যাহার করে নিল গ্রাম পঞ্চায়েত। ঘটনাটি ঘটেছে বাঁকুড়ার জয়পুর ব্লকের শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েতে।

বাঁকুড়ার অন্যতম ট্যুরিস্ট ডেস্টিনেশান জয়পুরের জঙ্গলের মাঝে সরকারি জমিতে সম্প্রতি একটি রিসর্ট তৈরীর উদ্যোগ নেয় স্থানীয় শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। রিসর্ট তৈরীর জন্য পঞ্চায়েতের নিজস্ব তহবিল, একশো দিনের কাজের প্রকল্প সহ বিভিন্ন প্রকল্পের সম্মিলিত অর্থে প্রায় পচাত্তর লক্ষ টাকা ব্যয় বরাদ্দ করে ওই গ্রাম পঞ্চায়েত।

ঘন শাল জঙ্গলের মাঝে শুকনো পুকুর নামের একটি পুকুরকে নতুন করে খনন ও তার চারপাশ সৌন্দর্যায়ন করে তার চারিদিকে শুরু হয় রিসর্ট নির্মাণের কাজ। এই রিসর্ট নির্মাণের মাঝেই রিসর্টটি লিজ দেওয়ার বিজ্ঞপ্তি দেয় শ্যামনগর পঞ্চায়েত। পঞ্চায়েতের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ হতেই লিজ প্রক্রিয়া নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক। যে রিসর্ট নির্মাণের কাজ এখন মাঝপথে সেই রিসর্ট লিজ দেওয়া যায় কীভাবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন বিরোধীরা।

তাছাড়াও পঞ্চায়েতের বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা লিজের অঙ্ক নিয়েও শুরু হয়েছে জলঘোলা। বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয় পাঁচ বছরের জন্য ওই রিসর্ট লিজ নিতে হলে লিজ গ্রহিতাকে দিতে হবে সর্বনিম্ন পচাত্তর লক্ষ টাকা। লিজ গ্রহণের আগেই জমা করতে হবে মোট লিজের অঙ্কর অর্ধেক টাকা। বিরোধীদের দাবি লিজের এই বিপুল অঙ্ক দেখে প্রকৃত পর্যটন ব্যবসায়ীরা তা নিতে আগ্রহ দেখাবে না। সেই সুযোগে তৃনমূল পরিচালিত ওই গ্রাম পঞ্চায়েত নিজেদের ঘনিষ্ঠ কোনো ব্যাক্তিকে ওই রিসর্টের লিজ কম টাকায় পাইয়ে দিতেই বিজ্ঞপ্তিতে ওই বিপুল পরিমাণ লিজ অঙ্ক উল্লেখ করেছে।

বিরোধীদের তরফে এই ধরনের একাধিক বিষয়ে প্রশ্ন উঠতেই বনশ্রী নামের ওই রিসর্টের লিজ বিজ্ঞপ্তি প্রত্যাহার করে নিয়েছে শ্যামনগর গ্রাম পঞ্চায়েত। যদিও প্রত্যাহারের কারণ হিসাবে দেখানো হয়েছে করোনার বাড় বাড়ন্ত। বিরোধীদের তোলা সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে গ্রাম পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ। মহকুমা প্রশাসন ইতিমধ্যেই লিজের প্রক্রিয়া পুনরায় খতিয়ে দেখার জন্য সংশ্লিষ্ট জয়পুর ব্লক প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে।