অবতক খবর,৯ জুনঃ নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা ঘোষণা করে দিয়েছেন পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে ৮ জুলাই এবং সেই ভোট হবে একদিনে।

ভোটের দিন ঘোষণার জন্য সর্বকালীন রেকর্ড ভেঙেছেন নির্বাচন কমিশনার সাহেব, এমনই বিরোধীদল গুলির অভিযোগ। সর্বদলীয় বৈঠক না ডেকে এক মাসের মধ্যে নির্বাচন ঘোষণা পশ্চিমবঙ্গের ক্ষেত্রে তো একটি ঐতিহাসিক ঘটনা তো বটেই। এই বিষয়ে নির্বাচন কমিশনার রাজীব সিনহা রেকর্ড স্থাপন করেছেন বলে তাদের মত।

৯ জুন থেকে ১৫ই জুন তারিখের মধ্যে রবিবার বাদে প্রতিদিন সকাল ১১টা থেকে দুপুর তিনটে পর্যন্ত মনোনয়ন জমা দেওয়া যাবে। মনোনয়ন যাচাইয়ের দিন ১৭ জুন আর মনোনয়ন প্রত্যাহারের শেষ দিন ২০ জুন। ভোট হবে সকাল ৭টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত। ভোট গণনা হবে ১১ জুলাই।

রাত ১০টা থেকে ভোর ৬টা পর্যন্ত প্রচার করা যাবে না। ৬ই জুলাই বিকেল ৫টার পরে প্রচার সভা শেষ।

পশ্চিমবঙ্গে মোট গ্রাম পঞ্চায়েত ৩,৩১৭। নির্বাচনী কেন্দ্র ৫৮,৫১৩। পঞ্চায়েত সমিতি ৩৪১। নির্বাচনী কেন্দ্র ৯,৭৩০। মোট জেলা পরিষদ ২০। নির্বাচনী কেন্দ্র ৯২৮। মোট ভোটকেন্দ্র ৬১,৬৩৬। মোট‌ ভোটার ৫,৬৭,২১,২৩৪।

বর্তমানে পশ্চিমবঙ্গের পরিস্থিতিকে বলা হয় ‘বোমা পরিস্থিতি’। রাজ্য জুড়ে এমন কোন জেলা নেই যেখানে বোমা বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটেনি। প্রতিনিয়ত কয়েকটি নয়,ড্রাম ভর্তি বোমা উদ্ধার হচ্ছে। শাসক দলের অধিকৃত অঞ্চল থেকেও বোমা পাওয়া যাচ্ছে। ফলত পশ্চিমবঙ্গের আইনশৃঙ্খলা এক ভয়ানক পরিস্থিতি বজায় রয়েছে। বোমা বিস্ফোরণ ও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তার বিরুদ্ধে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার সাংসদেরা বিভিন্ন সময়ের বিভিন্ন বক্তব্য রেখেছেন। বোমা কি করে নির্মাণ করা হয়, কি কি উপকরণ লাগে তা জানিয়ে দিয়েছেন এক সাংসদ এবং বোমা বিস্ফোরণের কারণ যে এই উচ্চতাপ প্রবাহ,তাও তিনি বলে দিয়েছেন। এক সাংসদ জানিয়ে দিয়েছেন, পুলিশ উদাসীন,নিষ্ক্রিয়। এমন একটা পরিস্থিতিতে এক মাসের মধ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হবে। কেউ জানে না এই ভোটে কত মানুষ নিহত হবে,কত মানুষ জখম হবে,তার আশঙ্কায় রয়েছে এই গাঙ্গেয় উপত্যকা। লাশের প্রহর গুনছে কী পশ্চিমবঙ্গ?