অবতক খবর: পঞ্চায়েত ভোটে অশান্তির অভিযোগ খতিয়ে দেখতে রাজ্যে আসছে বিজেপির কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দল।জেপি নাড্ডার তরফে চার সদস্যের কমিটি তৈরি করা হয়েছে। কমিটির মাথায় রয়েছেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী তথা সাংসদ রবিশঙ্কর প্রসাদ। বাকি তিনজন হলেন মুম্বই পুলিশের প্রাক্তন কমিশনার তথা সাংসদ সত্যপাল সিং, সাংসদ রাজদীপ রায় এবং সাংসদ রেখা বর্মা। সূত্রের খবর, পঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলপ্রকাশের দিনই অর্থাৎ মঙ্গলবার বাংলায় আসছে বিজেপির প্রতিনিধি দল।

পঞ্চায়েত নির্বাচনের দিন রাজ্যে ১৯ জনের মৃত্যু হয়েছে। জখম হয়েছেন কয়েকশো জন। মৃতদের মধ্যে ১০ জনেরও বেশি তৃণমূল কর্মী। রাজ্যের শাসকদলের অভিযোগ, বেছে বেছে তৃণমূল কর্মীদের হত্যা করা হয়েছে। এমনকী, ভোটের পরও হিংসা চলছে। বিজেপির দুষ্কৃতীরা নিশানা করছে তৃণমূল নেতা-কর্মীদের। আবার কেন্দ্রীয় বাহিনীর নিষ্ক্রিয়তা নিয়েও সরব হয়েছে রাজ্যের শাসকদল। বিরোধীরা সরব হয়েছে নির্বাচন কমিশনের নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে। সবমিলিয়ে ভূরি ভূরি অভিযোগ উঠেছে বাংলার পঞ্চায়েত ভোট নিয়ে।

এর বিরোধিতা করে তৃণমূল মুখপাত্র তথা রাজ্য় সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ জানান, “মণিপুর তো জ্বলছে। সেখানে তো কোনও ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিটি যায় না। বাংলার ৬১ হাজার বুথের মধ্যে গুটিকয়েক বুথে অশান্তি হয়েছে। সেটা নিয়ে বিরোধীরা প্রচার করতে চাইছে।”নির্বাচনের দিনই বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারকে ফোন করেছিলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। এরপর সন্ত্রাসের অভিযোগের সত্যতা খুঁজতে বিজেপির তরফে ফ্য়াক্ট ফাইন্ডিং টিম পাঠাচ্ছে তারা।

এই প্রতিনিধি দল রাজ্যে ঘুরে দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে কথা বলে রিপোর্ট দেবেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডাকে। কেন্দ্রীয় বিজেপির তরফে একথা জানানো হয়েছে। যদিও গেরুয়া শিবিরের এই ভূমিকার তীব্র সমালোচনা করেছেন তৃণমূলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক। তাঁর প্রশ্ন, “মণিপুর নিয়ে চুপ কেন?”