অবতক খবর,১৩ মেঃ দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে পঞ্চায়েত স্তরে জনপ্রতিনিধিত্ব করে আসছেন স্বামী-স্ত্রী।এলাকায় হয়নি কোনো উন্নয়ন দাবি গ্রামবাসীর।এবার টিকিট পেলে ভোট বয়কটের হুমকি এলাকাবাসীর।পঞ্চায়েতে দাঁড়ালে ঝাঁটা পেটা করা হবে জনপ্রতিনিধি স্বামী-স্ত্রীকে এমনই নিদান গ্রামবাসীর।আজ শনিবার হরিশ্চন্দ্রপুর-১ নং ব্লকের রশিদাবাদ গ্রাম পঞ্চায়েতের ঘরোট গ্রামের বাসিন্দা তথা তৃনমূল কর্মীরা একজোট হয়ে হাতে প্ল্যাকার্ড নিয়ে পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী আন গেজ বেগম তথা গ্রাম পঞ্চায়েত সদস্যার বিরুদ্ধে একরাশ ক্ষোভ উগড়ে দিয়ে বিক্ষোভ দেখালেন।গ্রামবাসীদের অভিযোগ,পঞ্চায়েত সমিতির সদস্য তথা খাদ্য কর্মাধ্যক্ষ কেরামুদ্দিন আহমেদ ও তার স্ত্রী আন গেজ বেগম দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে জন প্রতিনিধিত্ব করে আসছেন।নিজেদের স্বার্থ সিদ্ধি ছাড়া তাঁরা এলাকায় তেমন উন্নয়ন করেননি।পানীয় জল ও রাস্তাঘাট নিয়ে চরম সমস্যায় রয়েছে এলাকার মানুষজন।ভোটের সময় বাড়ি বাড়ি গিয়ে মিথ্যা প্রতিশ্রুতি দিয়ে ভোট আদায় করে থাকেন।ভোটে জেতার পর কেরামুদ্দিন কে এলাকায় দেখতে পাওয়া যায়না।তিনি নিজের পাটের গোলার কাজে ব্যস্ত হয়ে পড়েন।সন্ধ্যার সময় পাখির মতো বাসায় ফেরেন।এলাকায় কারো কোনোরূপ সমস্যা হলে তাকে পাশে পাওয়া যায় না।এলাকার মানুষ তাকে আর পঞ্চায়েত স্তরে দেখতে চাইছেন না।অপরদিকে তৃনমূল কর্মীরা বিস্ফোরণ অভিযোগ তুলে বলেন,কেরামুদ্দিন দলে থেকে দল বিরোধী কাজ করে চলেছেন।ব্লক ও পঞ্চায়েত স্তরের তৃনমূল নেতাদের বিরুদ্ধে বিরোধীদের মতো অপপ্রচার করে চলেছেন।দলের মধ্যে অন্তরদ্বন্দ্ব লাগানোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন তিনি।

বিক্ষোভকারী মহম্মদ হেলাল বলেন,কেরামুদ্দিন যদি আবার পঞ্চায়েতের টিকিট পেয়ে ভোট চাইতে আসে তাকে ঝাড়ু পেটা করে তাড়াব। তিনি কথা দিয়ে কথা রাখতে পারেন না।রাস্তা ও গ্রামে পুকুরের চারপাশে গার্ডোয়াল করে দেওয়ার কথা দিলেও কোন কাজ করেননি।

সাইরা বানু নামে এক বিধবা মহিলা জানান, তাকে মৃত্যু দেখিয়ে তার বিধবা ভাতা বন্ধ করে দিয়েছে কেরামুদ্দিন বলে অভিযোগ।

ওয়ারেশা বিবি নামে এক মহিলা জানান,গ্রামে পুকুরের পাশের রাস্তাটি বেহাল অবস্থায় থাকার কারণে বছর দেড়েক আগে তার এক শিশু সন্তান জলে ডুবে মারা গেছেন।খবর পাওয়া সত্ত্বেও

জনপ্রতিনিধি স্বামী-স্ত্রীকে কেউ দেখা করতে আসেননি।

কেরামুদ্দিন আহমেদ জানান,যারা বিক্ষোভ দেখালেন তারা কংগ্রেস দলের কর্মী।দীর্ঘ ২৫ বছর ধরে তাকে কেউ হারাতে পারছে না।

ভোট মূহুর্তে এলাকায় তার ভাবমূর্তি নষ্ট করার জন্য চক্রান্ত করে চলেছে বিরোধীরা।দীর্ঘ ৩৫ বছর ধরে এলাকায় যা কাজ হয়নি ১০ বছরে তা তিনি করে দেখিয়ে দিয়েছেন।