অবতক খবর, নৈহাটি: নৈহাটিতে বিস্ফোরক ডিসপোজাল কান্ডে ক্ষতিগ্রস্থ ৬৫ টি পরিবারকে রাজ্য সরকারের তরফে আর্থিক ক্ষতিপূরন দেওয়া হলো।সর্বোচ্চ ৩৫ হাজার টাকা ও ক্ষতির পরিমান অনুমান করে ড্রাফট বিলি করা হলো। সরকারী কোষাগার থেকে শুক্রবার ১২ লক্ষ টাকার মত ব্যয় করা হলো।

এই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক,জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী, মহকুমাশাসক আবুল কালাম আজাদ আনসারি,পুলিশ কমিশনার মনোজ কুমার ভার্মা,অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার অজয় ঠাকুর,বিধায়ক পার্থ ভৌমিক ,পুরসভার চেয়ারম্যান অশোক চ্যাটার্জি ।

এই বিষয়ে বারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নগরপাল মনোজ ভার্মা জানিয়েছেন, ‘বিকল্প ব্যবস্থা করা হবে , আমরা কথাবার্তা বলছি। এই বিষয়ে নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন।’ অন্যদিকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার জেলাশাসক চৈতালী চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ‘ক্ষতিপূরণ দেওয়া হয়েছে। ক্ষতিপূরণের পরিমান  ক্ষয়ক্ষতির মানদন্ডের ওপর নির্ভর করছে। ‘

এই প্রসঙ্গে খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক জানিয়েছেন, ‘১৫৬ জনের চেক এসে গিয়েছে। ধাপে ধাপে সকলকেই ক্ষতিপূরণের চেক দেওয়া হবে। নৈহাটি বিস্ফোরণ নিয়ে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক দাবি করে জানিয়েছেন , ‘এই ঘটনা অনভিপ্রেত। ডিসপোজাল করতে গিয়ে কিছু পটকা ফেটেছে, বোমা নয়। এই ঘটনা কেউ চায় না, এই ঘটনা অনভিপ্রেত। ‘ রাজ্যের খাদ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, হুগলী জেলার ক্ষেত্রে ও ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে।যারা ঘটনায় মারা গিয়েছেন ধাপে ধাপে তাদের সাহায্য  করা হবে। রাজনীতির রঙ না দেখে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কাজ চলছে। ‘

ক্ষতিগ্রস্ত তনুশ্রী দেব জানিয়েছেন, ৩৫ হাজার টাকার চেক পেয়েছি। বিস্ফোরণের ঘটনায় জানালার কাছ ভেঙে গিয়েছিল। ক্ষতিপূরণ পেয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কাছে আমি কৃতঞ্জ।’ নৈহাটির বিধায়ক পার্থ ভৌমিক জানিয়েছেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী মাননীয়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এক সেকেন্ড অপেক্ষা না করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। মঞ্চে উপস্থিত সরকারি আধিকারিকেরা আপনাদের নাম ডেকে ক্ষতিপূরণের  চেক তুলে দেবে।’