এক নেতা বলছে এরা দুষ্কৃতী,আর এক নেতা দিচ্ছে এদের যুব নেতার স্বীকৃতি। দুষ্কৃতীর আসল সংজ্ঞা কি?

নেতা তুঝে সেলাম
তমাল সাহা

নেতারা বলছে সেই কবে থেকে,
দুষ্কৃতীরাই পার্টি ভাঙে,বোমাবাজি করে।
তাদের করতে হবে একঘরে।
নেতারা বলছে,
একা খাবে না ভাই, অন্যকেও খাওয়াবে।
বাকি অংশ পার্টি ফান্ডে যাবে।

নেতারাই জানে দুষ্কৃতী কাকে বলে।
দুষ্কৃতীর সংজ্ঞা পাল্টায় কালে কালে।
যখন তারা নেতার পক্ষে ছিল
বুথ দখল করেছিল
তখন কি ছিল তাদের আকৃতি প্রকৃতি?
ওরা দলের সম্পদ-সম্পত্তি।
দল থেকেই ওঠে সুর,দাও ওদের স্বীকৃতি।

নেতা জানেন নেতা হওয়ার অন্ধিসন্ধি।
তিনি জানেন,
তিনি তো আর হবেন না করমচাঁদ গান্ধী!
তার চাই কামাই, পাহাড় উঁচু বিত্ত।
কে গড়ে দেবে? তার কারিগর তো দুর্বৃত্ত।
সুতরাং দুর্বৃত্ত পোষো, ভালোবাসো।
দুঃসময়ে পাল্টি খাও আর সাগরেদকে দুষ্কৃতী বলে দোষো।

শহর জুড়ে লুম্পেনের বাড়াবাড়ি—
নেতার গালে হাত,কী করি?
এবার তো দলের মান যায়!
মাথা চুলকে বলে,কী হবে উপায়?
পুলিশকে করো বলির পাঁঠা—
গারদে দিক পুরে,চুকে যাক ল‍্যাঠা!

সবাই জানে নেতাই আসল পটুয়া।
তিলে তিলে নিজে হাতে গড়েছে
মস্তান-প্রতিমা।
এখন গর্জন বড়,
দুষ্কৃতীকে নেই কোনো ক্ষমা!
নেতা বলে, আইনের পথে চলবে আইন।
নেতা হাত গুটিয়ে বসে,নির্মাতা—
শত শত ফ্রাঙ্কেনস্টাইন।

দুষ্কৃতীর স্ত্রী-পুত্র বলে,
এখন এতো অপমান!
তোমার জন্যই তো এতোদিন
স্বামী আমার,বাপ আমার ঝরিয়েছে ঘাম।
জেলে যাবার পথে দুষ্কৃতী ফিরে ফিরে চায়
হাত তোলে,বলে–গুরু!এলাম
তুঝে বহুত বহুত সেলাম।