অবতক খবর,১৭ মার্চ,নদীয়া:- শীত ফুরালেই প্রকৃতিই জানান দেয় বসন্ত আসছে । বিবর্ণ ধূসর ঝরা পাতার মাঝে অশোক পলাশ শিমুলের আগুনের রং শীতের ক্লান্তি ঝেড়ে গ্রীষ্মের দাবদাহে পরিশ্রমী করে তোলার ইঙ্গিত দেয়।
কেউ কেউ মনে করেন, ১৯০৭ সালের ১৭ই ফেব্রুয়ারি, বসন্ত পঞ্চমীতে, শমীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উদ্যোগে, যে ঋতু উৎসবের সূচনা হয়, তারই পরিবর্তিত ও পরিমার্জিত রূপ শান্তিনিকেতনের আজকের এই বসন্ত উৎসব বা বসন্তোৎসব। সরস্বতীর পূজার দিন শুরু হলেও পরবর্তী কালে সে অনুষ্ঠান বিভিন্ন বছর ভিন্ন ভিন্ন তারিখ ও তিথিতে হয়েছে। শান্তিনিকেতনের প্রাণপুরুষ রবীন্দ্রনাথের বিদেশযাত্রা বা অন্য আরও দিক মাথায় রেখে কোনও এক নির্দিষ্ট দিনে আশ্রমবাসী মিলিত হতেন বসন্তের আনন্দ অনুষ্ঠানে।
ক্ষিতিমোহন সেন এবং অন্য সঙ্গীদের নিয়ে সে বার রবীন্দ্রনাথ চিন যাত্রা করছেন দোলযাত্রার দিনে। সন্ধ্যায় পূর্ণিমার চাঁদ ও গঙ্গাতীরের গ্রামের কীর্তনের সুর তাঁকে আবেগাপ্লুত করে তুলেছিল। তাই হয়তো, শান্তিনিকেতনের বসন্ত উৎসব পূর্ণতা পায় রঙের উৎসব ‘হোলি’ বা ‘হোরী’ খেলার দিনে অর্থাৎ রাধাকৃষ্ণের ‘দোলযাত্রা’ তিথিতে।
মূলত শান্তিনিকেতনের অনুকরণেই রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্তে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ক্লাব বারোয়ারি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন সাংস্কৃতিক প্রতিষ্ঠান তাদের নিজেদের মতন করে আয়োজন করে থাকেন বসন্ত উৎসব। তাই নিয়ে উন্মাদনা চলে গোটা মাসজুড়ে । নদীয়ার শান্তিপুর সোনার তরী ডান্স একাডেমি গত দু’বছরে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে উৎসবের ঘাটতি হওয়ার ফলে বিষন্ন ছিল কলাকুশলীদের মন। এবারে সে বাধা দূর হয়েছে, বিভিন্ন অনুষ্ঠানে ডাক পড়েছে তাদের।