অবতক খবর,১০ এপ্রিল: পশ্চিমবঙ্গে এখন করোনা ছুটি নিয়েছে। কিন্তু অন্যান্য যে সমস্ত রাজ্যে এখন নির্বাচন নেই সেখানে করোনা দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। আসলে তৃণমূল এবং বিজেপির নির্বাচনী প্রচারে যে ভিড় হচ্ছে তা দেখে করোনা ভয় পেয়ে গেছে। তাই আপাতত সে এখন এই রাজ্য থেকে ছুটি নিয়েছে।

কিন্তু দেশজুড়ে এই মুহূর্তে প্রায় ১ লক্ষেরও বেশি মানুষ করোনা আক্রান্ত। প্রতিদিন করোনা আক্রান্তের ও মৃতের সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর সরকার বলছে এই করোনা ভাইরাস অত্যন্ত ভয়ঙ্কর। দুই গজের দূরত্ব এবং মাস্ক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

কিন্তু এখন যা পরিস্থিতি তাতে বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা আবার বিভিন্ন জনসভায় ফটো দিয়ে বলছেন যে দেখুন আমাদের সভায় লোক বেশি, এত মানুষের সমর্থন আমাদের। সেই সব ফটো, ভিডিওতে পরিষ্কার দেখা যাচ্ছে গায়ে গা সেঁটে দাঁড়িয়ে আছেন মানুষ, মুখে মাস্ক নেই। তবে কি রাজনৈতিক দলের লোকেদের জন্য করোনার বিধিনিষেধ লাগু হবে না! দেশের প্রধানমন্ত্রী নিজে যখন করোনা নিয়ে এত সচেতন, এত সচেতনতা বার্তা দেন বিভিন্ন অনুষ্ঠানে, তখন জনসভা করতে গিয়ে তাঁর কি মনে হয় না যে এই মানুষগুলোরও করোনা হতে পারে?

এদিকে রাস্তাঘাটে প্রায়ই চোখে পড়ে মানুষজনকে দাঁড় করিয়ে হেলমেটের ভেতর দিয়ে মাস্ক পড়ানো হচ্ছে। গাড়ির ভেতরের মানুষজন মাস্ক না পড়ে থাকলে তাদের চালান কাটা হচ্ছে, এমনকি পথচারীদের ধরে বেঁধে মুখে মাস্ক না থাকার জন্য শাস্তি দেওয়া হচ্ছে, তাহলে এই রাজনৈতিক দলের সভা বা মিছিল-মিটিংয়ে কোন নিয়ম মানা হচ্ছে না কেন? তবে কি রাজনৈতিক দলের ব্যক্তিত্ব এবং সাধারণ মানুষের জন্য করোনা প্রটোকল আলাদা? নেতারা তো লকডাউনে সব দোকান বন্ধ করিয়ে দিয়েছিলেন,কিন্তু নিজেদের দোকানের শাটার কখনও ডাউন হতে দেননি। আসলে তারাই এই করোনা নিয়ে রাজনীতি করেছেন এবং এই ভয়ঙ্কর একটা ভাইরাস নিয়ে তারা এই সময়ে মজা শুরু করেছেন। তবে এখন তারা এসব কোনকিছুই তোয়াক্কা করবেন না। পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন মিটে যাওয়ার পর তাদের টনক নড়বে যে, এতজন মানুষ প্রতিদিন করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন,এতজনের প্রতিদিন মৃত্যু হচ্ছে। করোনা যাতে না ছড়ায় তার একটা ব্যবস্থা করতে হবে। এই সব কিছুই মনে পড়বে তাদের নির্বাচনের পর।