অবতক খবর,২০ আগস্ট,কাকদ্বীপ: নিখোঁজ ১৮ জন মৎস্যজীবীর মধ্যে জীবিত অবস্থায় উদ্ধার হল ১৩ জন মৎস্যজীবী। বাকি ৫জন এখনো নিখোঁজ। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজে চলছে তল্লাশি। উল্লেখিত,গত ১৫ অগস্ট এফবি সত্যনারায়ণ ট্রলারটি বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে বেরোয়। কিন্তু হঠাৎই নতুন করে নিম্নচাপ তৈরি হওয়ায় এবং আবহাওয়া খারাপ হতে শুরু করায় প্রশাসনের তরফ থেকে মৎস্যজীবীদের সতর্ক করা হয়।অতি গভীর নিম্নচাপের জেরে প্রবল বৃষ্টিতে ভাসছে দক্ষিণবঙ্গের একাধিক জেলা।

বঙ্গোপসাগরের উপর তৈরি হওয়া এই নিম্নচাপের কারনে লাগাতার প্রচার করেছে প্রশাসন। বিশেষ করে সতর্ক থাকার বার্তা দেওয়া হয় মৎস্যজীবীদের। এরইমধ্যে শুক্রবার সকালে বঙ্গোপসাগরে কেঁদো দ্বীপের কাছে একটি ট্রলার উল্টে যায়। মাছ ধরার ওই ট্রলারে ছিলেন ১৮ জন মৎস্যজীবী। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজে উদ্ধার কাজের নেমে পরে উপকূল রক্ষী বাহিনী। বিকেলের পর ১৩ জন মৎস্যজীবীকে।

উদ্ধার মৎস্যজীবীদের রাতেই আনা হয় কাকদ্বীপ মহকুমার হাসপাতালে। কাকদ্বীপ মহাকুমার হাসপাতাল চত্বরে কান্নায় ভেঙে পড়ে নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের পরিবারের আত্মীয়-স্বজনেরা। ডুবে থাকা ট্রলারটির অবস্থান চিহ্নিত করা গিয়েছে বলেই প্রশাসন সূত্রে খবর। নিখোঁজ মৎস্যজীবীদের খোঁজ চলছে। উদ্ধারকাজে তিনটি ট্রলারও নামানো হয় এদিন। তবে দুর্যোগপূর্ণ আবহাওয়ায় সমুদ্র উত্তাল থাকার পাশাপাশি অন্ধকারের কারণেও উদ্ধার কাজ ব্যাহত হয়।

মৎস্যজীবী সংগঠনের পক্ষ থেকে জেলা প্রশাসন, জেলার মৎস্য দফতর ও কোস্ট গার্ডদের খবর দেওয়া হয়। এরপরই শুরু হয় তল্লাশি। নামানো হয় ট্রলার। কিন্তু বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমেই উত্তাল হতে শুরু করে সাগর। বৃষ্টি, ঝোড়ো হাওয়ার দাপটের সঙ্গে অন্ধকার হতে শুরু করে। কোনওমতে ১৩ জনকে উদ্ধার করা গেলেও এখনও ৫ জনের খোঁজ না মেলায় উদ্বেগে প্রশাসন। কাকদ্বীপ মৎস্যজীবী ইউনিয়নের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বাকি মৎস্যজীবীদের খোঁজে চালানো হচ্ছে তল্লাশি।