অবতক খবর,১০ জুলাইঃ উত্তর ২৪ পরগনার গোপালনগরে কলেজ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার। এ প্রসঙ্গে দিলীপ ঘোষ বলেন, এখন যেমন রাস্তার ধারে সব জায়গায় সবজি পাবেন সেইরকম আগ্নেয়াস্ত্র পশ্চিমবাংলার সব জায়গায় পাবেন তাই আপনারা। টাকা দিন লোক আছে পৌঁছে দিয়ে যাবে। তারপর যা ইচ্ছা করুন। যে সে মেরে দিচ্ছে যাকে তাকে যেখানে সেখানে গুলি চলছে। আজকে যখন তৃণমূলের লোকেরা মারা যাচ্ছেন তখন চিৎকার করছে যখন বিজেপির লোকেরা মারা যাচ্ছিল কোন সমস্যা ছিল না।

সাধারণ মানুষ মারা যাচ্ছিল কোন সমস্যা ছিল না। আজকে নিজেরা মারামারি করে তৃণমূলের নেতাকর্মীরা মরছে। কারণ সবাই এন্টি সোশ্যাল তখন তৃণমূলের চিন্তা হচ্ছে দিদিমণি একবার বলে দিলেন অস্ত্র উদ্ধার করো। কিছু পুরনো ভাঙ্গা অস্ত্র পুলিশ যেগুলো রেখেছিল সেগুলো বার করে দেখিয়ে দিবেন। আসল অস্ত্র যেখানে তৈরি হচ্ছে যাদের হাতে আছে কেউ হাত লাগাচ্ছে না। একাধিকবার ধরা পড়েছে, মুঙ্গের ইত্যাদি এসব জায়গায় অস্ত্রের কারখানা চলতো আগে তাদের কারিগররা খুব এক্সপার্ট হয় যেমন হাতিয়ার দেবেন বানিয়ে দেবে তারা। তারা এসব পশ্চিমবাংলায় এসে ঢুকেছে। এখানকার পুলিশ গায়ে হাত দেবে না। সরকার তাদের সমস্যা করবে না তারাই একসময় সাপ্লাই করবে তাদের কাজের জন্য এখানে অস্ত্র তৈরি হচ্ছে এবং ব্যবহার হচ্ছে এখান থেকে বিহার উত্তর প্রদেশ বাংলাদেশ অস্ত্র যাচ্ছে।

ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের নতুন সিপি অজয় ঠাকুর বলেছেন, এনআইএ তদন্ত নয় পুলিশি যথেষ্ট। এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,ঠিকই তো। এতদিন যখন অর্জুন সিং আমাদের পার্টিতে ছিলেন তার পেছনে লাগছিলেন যদি কেস থাকে অন্যায়। এবার বার করুন দম থাকলে সব গর্তে ঢুকে গেছে সব পোষা ইঁদুর।

শিয়ালদা মেট্রো উদ্বোধন আগামীকাল।এই নিয়ে তৃণমূল বলছে মুখ্যমন্ত্রী যখন বাইরে যাচ্ছেন তখনই করা হচ্ছে।আমন্ত্রণ জানানো হয়নি সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন,কেন্দ্র সরকার টাকা দিচ্ছে বানিয়ে দিচ্ছে। তারা উদ্বোধন করবে। উনার তো কেন্দ্রের টাকা দরকার, ওটা নিয়ে নিন বাকি তো কোন সৌজন্যবোধ নেই। এখানে রাজ্য সরকারের এত অনুষ্ঠান হয়। প্রশাসনিক বৈঠক হয়, কোনদিন ভুল করে আমাদের একটা চিঠি দিয়েছে, জানিয়েছে আপনারা আসুন ।আমরা তো নির্বাচিত প্রতিনিধি সাধারণ মানুষের আমাদের দেখেছে। এখানকার উন্নয়নে আমাদের অংশগ্রহণ ও মতামতের প্রয়োজন আছে। অধিকার আছে তৃণমূল কোনদিন ডাকে না। প্রশাসনিক বৈঠক টাকে পার্টি বৈঠক করে নিয়েছে। সেখানে কেন ডাকবে না আমাদের, আমরা নির্বাচিত প্রতিনিধি। সেই জন্য ওদের সাথে এরকমই ব্যবহার করা ঠিক। ঠিক করেছে কেন্দ্রীয় সরকার। আমি বলছি কোনদিন যেন না ডাকে।

পাঁচজন সাংসদের পারফরমেন্স প্রসঙ্গে তিনি বলেন,জানিনা কার কি পারফরম্যান্স আমি দেখিনি।

কোভিদ আবার বাড়ছে রাজ্যে সেই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, করোনাকে শেষ করা যাবে না। বিশেষজ্ঞরা যেটা বলেছেন সে ভেরিয়েন্ট চেঞ্জ করে নিচ্ছে। বিভিন্ন রকমের এমন একটা ভাইরাস যেখান থেকে উৎপত্তি হয়েছে সারা দুনিয়া সন্দেহ করেছিল সেই চিনে এখন মহামারি হয়ে গেছে ‌।তারা উন্নত দেশ তারা ঠেকাতে পারছে না। আমাদের দেশে ভ্যাকসিনের মাধ্যমে ওটাকে নিয়ন্ত্রণ করেছিলাম। এখনো হচ্ছে তবে মৃত্যুর হার কম তবে সবার সাবধান থাকা উচিত। আমার মনে হয়, যারা বিজ্ঞানী আছেন এই যে ভেরিয়েন্ট চেঞ্জ হচ্ছে তার জন্য আবার নতুন করে ভ্যাকসিন বানাতে হবে।

শিয়ালদহ মেট্রো নিয়ে তৃণমূল বলেছে বিজেপি মানুষের জন্য নয় নিজেদের জন্য। আর পার্টির জন্য আর শিয়ালদহ মেট্রো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রস্তাব করেছিলেন আর মানুষ সবটাই জানে এই প্রসঙ্গে তিনি বলেন, প্রস্তাব তো উনি করেন, ভানু যেমন করতেন এখানে ধর্মশালা বানিয়ে দেব, যমালয়ে গিয়ে বলেছিলেন আমি এই বলে এসেছি এই করেছি করেনি কেন মমতা ব্যানার্জি রেলমন্ত্রী থাকতে হাজার হাজার পাথর লাগিয়েছিলেন তার নামটা দেওয়ার জন্য করতে পারেননি কিছুই। এখন বিজেপি করছে উনার যদি এরকম মনে হয় তাহলে এই মেট্রোতে তৃণমূলের লোকেরা না চড়ে। আমি বলছি এটুকু যদি তোমাদের মান মর্যাদা থাকে কেন্দ্রের জিনিস নেবে না তাহলে চড়বে না ওখানে তাহলে বলবো বাপের বেটা।