অবতক খবর,১৯ মে: ১) আচার্য সদনে কেন্দ্রীয় বাহিনী প্রসঙ্গে তিনি বলেন – এখন যেটা ঘটছে আগেই ঘটা উচিত ছিল। শিক্ষার জন্য আমরা গর্বিত ছিলাম সেই শিক্ষা ব্যবস্থা এখন কোথায় পৌঁছে গিয়েছে। দুর্নীতি হচ্ছে। শিক্ষামন্ত্রী কে প্যারেড করে সিবিআই দপ্তরে যেতে হচ্ছে। এই সরকারের আমলে বাংলার সার্বিক পতন হচ্ছে।

২) শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী ও তার শিক্ষিকা মেয়ে নিখোঁজ। এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, টর্চ নিয়ে আন্দোলন – রাজনৈতিক আন্দোলন হবে। কিন্তু এই অবস্থা কেন হবে। পার্টি জয়েন করলেই মন্ত্রীত্ব। সন্দেহ প্রকাশ করছি এরা জেলে যাবে কিনা না গেলে সমাজের মধ্যে হতাশা নেমে আসবে।

৩) মেদিনীপুরে প্রশাসনিক বৈঠকে শিল্পে দলীয় নেতাদের নাকগোলানো নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর হুঁশিয়ারি -এপ্রসঙ্গে তিনি বলেন, এইসব উনি আগেই বলেছেন, আমরাও শুনেছি। মেদিনীপুর, খড়্গপুর দুষ্কৃতীদের স্বর্গরাজ্য হয়ে গিয়েছে। উনি প্রতিবার এসে বড় বড় কথা বলেন কিন্তু সমাধান হয়নি। উনার কন্ট্রোল করার মত কিছু নেই।

৪) মমতা বন্দোপাধ্যায় বিবৃতি দিয়েছেন আমি কোনও অপরাধীর পাশে নেই- কটাক্ষ করে দিলীপের উত্তর এতদিন ব্যবস্থা নেননি কেন? উনি জানতেন না অপরাধ হচ্ছে। একটা বাচ্ছা ছেলেও জানে। টাকার ভাগ সবাই পেয়েছে। রাজ্যকে আর কত নীচে নাবাবেন উনারা।

৫) প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার অভিযোগ। এই নিয়ে দিলীপ ঘোষ বলেন, চুরি করলে পালিয়ে বেড়াতে হয়, তাই হচ্ছে। রাষ্ট্রের অধিকার এবং ক্ষমতা আছে তাকে বের করে খুঁজে নিয়ে আসার। আমার মনে হয় এটা হবে। এই ঘটনা খুব হতাশাজনক। এক্ষেত্রে নজিরবিহীন শাস্তি হওয়া উচিত।

৬) মধ্যরাতেও আদালত প্রসঙ্গে তিনি বলেন, কোর্ট বুঝতে পেরেছে এই দুর্নীতি মাথার উপর উঠে গিয়েছে। কোর্ট ব্যবস্থা নিতে বাধ্য হচ্ছে। আশা করব এর রেজাল্ট ঠিকঠাক হবে।

৭) ছাত্র বিক্ষোভ নিয়ে-তিনি বলেন, ছাত্ররা যেভাবে লাথি মেরে বিক্ষোভ দেখাচ্ছে সেই পরিস্থিতি কেন তৈরি হল? হয় প্রশাসন ঠিক নেই নাহলে সিদ্ধান্ত ঠিক নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোর একটা সন্মান আছে রা খেয়াল রাখা উচিত।

৮) হাবড়ায় গুলি-প্রসঙ্গে তিনি বলেন, রোজই গুলি চলছে। নির্বাচনে এরা জিতিয়ে দেয় তাই সরকার এদের খোলা ছুট দিয়েছে। ওরাও জানে ওদের কিছু হবে না। এর সমাধান নেই। এই সরকারের পক্ষে সমাধান করা সম্ভবও নয়।

৯) পুলিশি ব্যবস্থা কি আদৌ আছে বলে প্রশ্ন দিলীপের। প্রতিদিন খুন, ধর্ষন, গুলি সহ নানান অপরাধ বাড়ছে তাতে মনে হচ্ছে তাতে মনে হয় পুলিশের সংখ্যা কম আছে, না হয় যোগ্যতা নেই, না হয় পুলিশকে কাজ করতে দেওয়া হচ্ছে না।