অবতক খবর,২৫ এপ্রিলঃ মঙ্গলবার সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমনে আসেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ।

অভিষেক জনসংযোগ যাত্রা—-

নতুন তৃণমূল হয়েছে। মমতার তৃণমূল হয়তো উঠে গেছে। ওই নেতারা বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে। আলেকজান্ডার যেমন ভারত অভিযানে এসেছিলেন। আমি সম্প্রতি উত্তরবঙ্গে গেছিলাম। শুনলাম একটা তাবুর একদিনের ভাড়া ২৫ হাজার টাকা। তৃণমূল হয়তো এভাবেই আবার সর্ব ভারতীয় পার্টি হওয়ার চেষ্টা করছে। জানিনা এটা কতটা যুক্তিযুক্ত। রাজনীতির ধারা এখন এরকম হয়ে গেছে। আমরা এবং বাংলার মানুষ অন্য রাজনীতি দেখে অভ্যস্ত। জানিনা কার সঙ্গে সংযোগ করবেন। যে নেতারা সিবিআই ডাক পাচ্ছেন, তাদের কুশল হাল জানতে গেছেন হয়তো। দলে পুরনো লোক আর কে কে আছে হয়তো সেটাই দেখতে গেছেন। আমার তো মজা লাগছে, এই প্রথম এই রাজনীতি শুরু হল, যে প্রার্থী কাকে চাই। ওনারা আগে ঘোষনা করেছিলেন, ৬০ হাজার প্রার্থী মমতা ব্যানার্জি ঠিক করবেন। এতোদিন কারা ঠিক করত? এখন বলছে মানুষ ঠিক করবে? প্রতিবার এ ধরনের ভাঁওতাবাজি রাজনীতি দিয়ে মানুষকে বোকা বানানোর চেষ্টা হয়। এটাই যদি পাঁচ বছর আগে গিয়ে বলত, মানুষ বুঝত। তখন তো পঞ্চায়েত লুঠ করেছেন। পাঁচ বছরে মানুষকে পরিষেবা দেননি। ধনসম্পত্তি লুঠ করেছেন। মানুষ এর বিরুদ্ধে ভোট দেবে। সাধারণ মানুষ ত্রস্ত। দুর্নীতি চুড়ান্ত পর্যায়ে পৌছে গেছে। মানুষ পরিত্রাণ চাইছেন।

কালিয়াগঞ্জ ইস্যু—-

প্রিয়ঙ্ক কানুনগো সার্কিট হাউসে বসে আছেন। কেউ যাচ্ছে না। তারা অ্যাভয়েড করতে চাইছিলেন। এর আগে তিলজলা কেসে তাকে থানায় হেনস্থা করা হয়েছে। চাঁচলে একই ঘটনা। সেখানে তাকে বাধা দেওয়া হয়েছিল। এই যে অপশাসন চলছে, মমতা ব্যানার্জির হাতে আর প্রশাসন নেই। সবাই দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। গ্রামে লোক দাঁড় করিয়ে গো ব্যাক শ্লোগান করা হচ্ছে। জানিনা একটা সরকার এভাবে কতদিন চলতে পারে। রাজ্যের ইমেজ ধুলায় লুটিয়ে যাচ্ছে। এটা নিয়ে হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা হয়েছে। হওয়া উচিৎ। আমি পরশু জলপাইগুড়ি ছিলাম। একটি পরিবার সুইসাইড করেছে। একসময় আমাদের ওরা শিশু পাচার কাণ্ডে জড়ানোর চেষ্টা করেছিল। মিথ্যা কেস দিয়ে। তারাই এই সুইসাইড কাণ্ডের পিছনে আছে। ২৫ দিন হয়ে গেছে। কোর্টে সুইসাইড নোট জমা পড়েনি। দেড় বছর ধরে এই পরিবারকে হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। বাড়ির লোকের গতিবিধি ট্র্যাক করা হচ্ছিল। পুলিস কারুর গায়ে হাত দেয়নি। কারণ ওখানকার বড় তৃণমূল নেতা এই ঘটনার সঙ্গে যুক্ত।

মমতা-নীতিশ বৈঠক—

এর আগে সিপিএম এর হর কিষণ সুরজিত ঠিক এই জিনিসটাই করত। এই করে করে তার নিজের পার্টি উঠে গেল। গত বার আমরা দেখলাম মমতা সেই রোল প্লে করেছেন। পাটনা, মুম্বই, লখনউ ঘুরে বেড়ালেন। তার এক ডজন সিট কমে গেল। পার্টিটা লোকাল পার্টি হয়ে গেল। এখন নীতিশ কুমারের হাতে কোনো কাজ নেই। একজন ছোকরা তাকে ধাক্কা মারছে, সরিয়ে দেওয়ার জন্য। তাই তিনি তীর্থযাত্রায় বেরিয়েছেন। এপিসেন্টার কলকাতা থেকে পাটনা গেছে। যারা ব্রিগেডে এসে আগেরবার সভা করেছিলেন, মোদী হঠাও বলেছিলেন, অনেকেই দিল্লি পর্যন্ত পৌছাতে পারেন নি। এবারও অনেক পার্টির সেই অবস্থা হবে। আর কিছু পার্টি উঠে যাবে।

অপরূপার সুপারিশ—–

সবার কোটা হয় কিভাবে? ড্রাইভারের কোটা, পিয়নের কোটা। সারা দেশে তো এই সিস্টেম উঠে গেছে। এখানে আছে কিভাবে? এই ধরনের যত নিয়োগ হয়েছে, তার তদন্ত হওয়া উচিৎ।

পুরসভা নিয়োগ নিয়েও সিবিআই তদন্ত?–

বিশাল দুর্নীতিতে নেতা নেত্রীরা লাভবান হয়েছে। কোর্টে একটার পর একটা কেস হয়েছে। যবে থেকে তৃণমূল ক্ষমতায় এসেছে, দুর্নীতির আখড়া চলছে। যতগুলি নিয়োগ হয়েছে, সব তদন্ত হওয়া উচিৎ।

বিচারপতি নিয়ে প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের—

এর জেরে কি বিচার প্রক্রিয়া প্রভাবিত হয়েছে? উনি কোথাও কিছু বলতে পারবেন না? তিনিও তো একজন ব্যক্তি। তার পাশে আইন ব্যবস্থা দাঁড়াবে না? তিনি কি গোপনীয় তথ্য ওপেন করেছেন? তিনি কি তার নেওয়া শপথ ভঙ্গ করেছেন? এটা বিচার্য বিষয়। উনি কেন মুখ খুলেছেন, সেটা কি বিচার্য বিষয় হতে পারে? বাকিটা কোর্ট দেখবে।

অমিত মালব্যর ট্যুইট—–

এই বুদ্ধিজীবীরা দিনের পর দিন কখনও বুদ্ধ বাবু, কখনও মমতা ব্যানার্জিকে অপশাসনের অভিযোগ থেকে বাঁচানোর চেষ্টা করেছেন। দেশের পরম্পরা এবং কালচারের বিরুদ্ধে গেছেন। আজকাল তাদের বাজার খারাপ। তারা সুপ্ত অবস্থায় ছিলেন। তারা এই যে ট্রেন্ড অমর্ত্য বাবুর মতো লোকেরা লিড করছেন, সেটাকে সমর্থন করছেন। এই সেক্যুলার গ্যাং এরা দেশের একতার বিরুদ্ধে কাজ করেন। অমর্ত্য সেন আইন ভেঙেছেন। এরা তার পক্ষে দাঁড়িয়েছেন। দেশের আইনের পক্ষে এরা নেই।

বীরভূমে তান্ত্রিক খুন—–

সরকার দোষারোপ করে বাঁচার চেষ্টা করছে। তান্ত্রিক, পুরোহিত, শিশু, মহিলা সবাই খুন হয়ে যাচ্ছে। কোনো চার্জশিট হয়না। দোষীকে বাঁচানোর জন্য তৃণমূল ঝাঁপিয়ে পরে। এর বিরুদ্ধে গেলে বিরোধি বলে দেওয়া হয়। পুলিস নেই। প্রশাসন নেই। এর বিরুদ্ধেও হয়তো মানুষ সিবিআই চাইবে।

তৃণমূলের ২৪ এর ভোটের কৌশল বৈঠক নবান্নে কেন?—–

এখানে থানা হচ্ছে ওদের মন্ডল অফিস। ওসি হল তার সভাপতি। এস পি অফিস হল তৃণমূল জেলা অফিস। এসপি হলেন জেলা প্রেসিডেন্ট। নবান্ন টা বাকি ছিল। এখন ওটাই ওদের রাজ্য কার্যালয়। তিলজলার অফিসটা এবার ওখানে চলে যাবে।