অবতক খবর,১ ফেব্রুয়ারিঃ নাবালিকা হত্যাকারীকে ধরে উত্তম মধ্যম । বিলোনিয়া কলেজ স্কোয়ার এলাকায় মঙ্গলবার দুপুরে এই ঘটনা । খবর দেওয়া হয় পুলিশকে । পুলিশ ইলেকট্রিক পোস্ট থেকে হত্যাকারিকে বাঁধা অবস্থা থেকে মুক্ত করে দিয়ে তুলে নিয়ে যায় থানাতে ।জানা যায় 2022 সালের অক্টোবর মাসে সাবরুম মহকুমার ভুড়াতলী এলাকার বাসিন্দা অমিত বিশ্বাস একই মহাকুমার মনুঘাট এলাকার নাবালিকা সুস্মিতা মজুমদারকে প্রেমের জালে ফাঁসিয়ে বহিঃ রাজ্য ব্যাঙ্গালোরে নিয়ে চলে যায়। তারপর ২০২৩ সালের জানুয়ারি মাসের ৫ তারিখ সুস্মিতার পরিবারের লোকজন জানতে পারে চেন্নাই একটি হাসপাতালে সুস্মিতা মারা গেছে । খবর পেয়ে সুস্মিতার বাবা চেন্নাই থেকে মেয়ের নিথর দেহ এনে সাব্রুমে নিজ বাড়িতে সৎকার করে।

তারপর ঘটনা জানিয়ে সাব্রুম থানাতে নাবালিকাকে হত্যার অভিযোগ এনে অমিত বিশ্বাসের নামে মামলা করে। অভিযোগ অমিত বিশ্বাস তার মেয়ে সুস্মিতাকে ব্যাঙ্গালোরে নিয়ে গিয়ে দেহ ব্যবসার কাজে লাগায় এবং পরবর্তী সময়ে অবস্থা বেগতিক দেখে তাকে হত্যা করে। এদিকে অমিত বিশ্বাস এই অভিযোগ অস্বীকার করে। মামলা এখন বিচারাধীন রয়েছে। কিন্তু সুস্মিতার পরিবারের লোকজনের দাবি অমিত বিশ্বাসকে গ্রেপ্তার করে উপযুক্ত শাস্তি দিতে হবে। তাই আজ অমিত বিশ্বাসক যখন বিলোনিয়া কলেজ স্কয়ার এলাকায় অবস্থান করছিল তখন সুস্মিতার পিসি, রাখি ভৌমিক মজুমদার তাকে আটক করে মারধর করে এবং স্থানীয়দের সহযোগিতা নিয়ে ইলেকট্রিক পোস্ট এর সাথে বেঁধে রাখে। পরবর্তী সময়ে তাকে বিলোনিয়া পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সুস্মিতার পিসির অভিযোগ সাত জন থানার পুলিশ কোন এক অজ্ঞাত কারণে আসামিকে গ্রেপ্তার করছে না। পুলিশকে বললে পুলিশ জানায় আসামিকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। তাই বাধ্য হয়ে আজ তাকে হাতেনাতে ধরে ফেলল পরিবারের লোকজন। এই ঘটনা কে ঘিরে কলেজ স্কয়ার এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ে। এখন দেখার বিষয় আদৌ কি সুস্মিতার খুনিকে আইন শাস্তি দিতে পারবে? সুস্মিতার পরিবার আদৌ কি এই ঘটনার সুষ্ঠু বিচার পাবে? এই ধরনের প্রশ্ন উঁকি ঝুঁকি দিচ্ছে।