অবতক খবর , নদীয়া :    কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক সদ্যঘোষিত জাতীয় শিক্ষানীতি নিয়ে সমালোচিত হতে হচ্ছে বেশকিছু রাজ্যে। অথচ আগামী প্রজন্মের ছেলেমেয়েদের জন্য আগ্রহ অনুযায়ী পেশাভিত্তিক এই শিক্ষাব্যবস্থা সারা পৃথিবী জুড়ে। এর আগে কেন্দ্রীয় সরকার পরিচালনায় ইউপি ইউপিএ ১ এবং ইউপিএ ২ দীর্ঘদিন ক্ষমতায় থাকলেও যুগান্তকারী অত্যন্ত প্রয়োজনীয় আগামী প্রজন্মের কর্মের দিশা দেখাতে এই প্রকল্প বলেই দাবি করেন আগত বিজেপি শিক্ষা সেলের শিক্ষাবিদরা।

শান্তিপুর শহরের পাবলিক লাইব্রেরীর সামনে গোধূলি লজে আয়োজিত এই আলোচনা সভায় অংশগ্রহণ করতে এসেছিলেন প্রাক্তন এসএসসি চেয়ারম্যান চিত্তরঞ্জন মন্ডল, শিক্ষা সেলের জেলা কনভেনর কুমুদ রঞ্জন মল্লিক, এবং রাজ্য কনভেনার দীপল বিশ্বাস সহ শান্তিপুরের বেশকিছু শিক্ষা অনুরাগী শিক্ষকবৃন্দ। আলোচনায় বারবার উঠে আসছিলো বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে দায়িত্ব পান রাজনৈতিক নেতৃত্ব হয়তো কখনো বা কোন সম্পর্ক নেই শিক্ষার তাই তাদের দাবি শিক্ষাক্ষেত্রে রাজনৈতিক ক্ষমতার ভিত্তিতে নয় দায়িত্ব দেয়া হোক এ বিষয়ে অভিজ্ঞদের।

সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে তারা জানান বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ছাত্র-ছাত্রীদের পছন্দের বিষয় নির্বাচন করার সুযোগ না থাকার ফলে হারিয়ে যায় বহু প্রতিভা! অথচ ডিগ্রী কোর্সে গিয়ে হয়তো সেই পড়ার বিষয় থাকলেও ছোটবেলা থেকে আরো আট বছর ওই শিক্ষায় শিক্ষিত হলে সে হয়তো পৌঁছে যেত আরো অনেক দূর। সাধারণভাবে বিএ এমএ পাস করে বেকার হয়ে চাকরির হতাশায় ভুগছে বহু যুবক যুবতী। এই শিক্ষা ব্যবস্থা চালুর ফলে আগামী প্রজন্মের কাছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ভূমিকা স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে ইতিহাসে। তবে এ রাজ্যে ভালো-মন্দ বিচার না করে রাজনৈতিক স্বার্থেই বিরোধিতা করা অভ্যাস হয়ে দাঁড়িয়েছে সব বিষয়ে! তবে শাসকদলের বিরুদ্ধে হয়তো মুখ খুলতে পারছেন না সাধারণ মানুষ, কিন্তু বিগত লোকসভায় খানিকটা প্রমাণ পেলেও পূর্ণ হবে আগামী বিধানসভায়।