অবতক খবর,১৪ আগস্টঃ গঙ্গা দূষণ রুখতে, গঙ্গা তীরবর্তী অঞ্চল সংরক্ষণ এবং পুনরুদ্ধার করতে কেন্দ্রীয় সরকার কর্তৃক দুই হাজার কোটি টাকার তহবিল গৃহীত ২০১৪ সালে ১০ই জুলাই । ‘নমামি গঙ্গে’ নামকরন করা হয় এই প্রকল্পের। যা সারা ভারতবর্ষের যেসব রাজ্য দিয়ে গঙ্গা বয়ে গেছে ধারাবাহিকতার সাথে সেই সব জায়গায় সারা বছর নিয়মিত গঙ্গা নদীর সমীক্ষা করে থাকেন এই প্রকল্পযুক্ত আধিকারিকরা।

এবছর স্বাধীনতার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে নদীয়া জেলা পরিষদ এবং জেলা প্রশাসনের তৎপরতায় এক বিশেষ পর্যবেক্ষক দল সচেতনতা প্রচারের সাথে সাথে বিভিন্ন সমীক্ষাও করছেন বলে জানা যায়। গতকাল তারা নবদ্বীপের স্বরূপ নগর ঘাট থেকে পৌঁছান নৃসিংহপুর কালনা ঘাট। সেখানে রাত্রি বাস করে আজ রওনা দেন শিবপুরের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে চূর্ণী পর্যন্ত গিয়ে আবারো ফিরে আসবেন নবদ্বীপে।

এ বিষয়ে কৃষ্ণনগরে জলঙ্গী নদী নিয়ে কাজ করা অভিজ্ঞ সংগঠন হিসাবে ‘সেভ জলঙ্গি’কে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।

প্রকল্পের সচিব গতকাল উপস্থিত থাকলেও আজ, ‘সেভ জলঙ্গি’র পক্ষ থেকে ডক্টর যতন রায় চৌধুরী – কলেজের অধ্যাপক, ডঃ বলাই চন্দ্র দাস- আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং গঙ্গা নিয়ে গবেষণা করা বেশ কিছু ছাত্রছাত্রী এবং বেশ কয়েকজন নদী গবেষক রয়েছেন এই পর্যবেক্ষণ দলে।

তারা বলেন, বর্ষায় জলের সাথে নালা, নর্দমা, পয়ঃ প্রণালীর মাধ্যমে সলিড এবং লিকুইড বর্জ্য নদীতে এসে পড়ছে সরাসরি। অন্যদিকে নদী পার্শ্ববর্তী ইটভাটা এবং পাড়ের মাটি কেটে নেওয়ার কারণে, গঙ্গা নদীর স্বাভাবিক প্রবাহ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে এবং দূষণের মাত্রা বাড়ছে। বেশ কিছু জায়গায় গঙ্গাগর্ভ থেকে সরাসরি জল প্রকল্পের জন্য ব্যবহৃত জল তুলে নেওয়া হচ্ছে। এইসব কারণগুলোই গঙ্গা নদীর নাব্যতা কমাচ্ছে, বন্যার ভয়াবহতা বাড়াচ্ছে এবং গঙ্গা পাড় ভাঙ্গনের আশঙ্কা দেখা দিচ্ছে। এই সমস্ত যাবতীয় তথ্য লিপিবদ্ধ করে আলোচনার ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেয়া হবে আগামীতে।