অবতক খবর,২৪ জুলাই,নববারাকপুর: নববারাকপুর পুরসভার ফুটবল অ্যাকাডেমির তিনটি গ্রুপের আন্ত বিভাগ নার্সারি লিগের ফাইনাল খেলা হল রবিবার বিকেলে বিদ্যাসাগর ক্রীড়াঙ্গনে। গ্রুপের ৭-১০,১০-১২ এবং ১২-১৬ বিভাগের খুদেদের এবং অভিভাবক দের উন্মাদনা উচ্ছ্বাস ছিল লক্ষনীয়।ফাইনালে তিনটি খেলা উৎসর্গীকৃত করা হয় প্রয়াত অভিলাষ মালো,প্রয়াত সন্তোষ আচার্য এবং প্রয়াত রতন চক্রবর্তী (কাকা) স্মৃতির উদ্দেশ্যে স্মৃতি চ্যালেঞ্জ কাপ।

টুর্নামেন্ট বেস্ট প্লেয়ার এবং সর্বোচ্চ গোলদাতা উৎসর্গীকৃত করা হয় প্রয়াত দেবপ্রসাদ চন্দ এবং কৃষ্ণপদ গাইনের স্মৃতির উদ্দেশ্যে। প্রয়াত দের প্রতিচ্ছবিতে মালা দিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয় এদিন। ৭-১০ বছর বিভাগে ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন ঈশান মজুমদার।

১০-১২ বছর বিভাগের ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন শুভ্রনীল সরকার। ১২-১৬ বিভাগের ফাইনালে ম্যান অফ দ্য ম্যাচ নির্বাচিত হন বি গ্রুপের প্রান্তিক কর্মকার।ফাইনালে মাঠে উপস্থিত ছিলেন অতীত দিনের দিকপাল ফুটবলার প্রশিক্ষক স্বপন সেনগুপ্ত।স্বপন সেনগুপ্ত কে ফুলের তোড়া দিয়ে সন্মানিত করেন নববারাকপুর পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা।প্রীতি উপহার তুলে দেন পুরপিতা দেবাশিস মিত্র।খুদেদের সাথে মাঠে উপস্থিত নববারাকপুরে অতীত দিনের একঝাঁক ফুটবল নক্ষত্র।

কলকাতা ময়দানে কেউ প্রথম ডিভিশন বা দ্বিতীয় ডিভিশনে বিভিন্ন দলের হয়ে দাপিয়ে ফুটবল খেলেছেন। শুরুতে খুদে খেলোয়াড় দের সাথে পরিচিতি পর্ব সারেন ফুটবলার প্রশিক্ষক স্বপন সেনগুপ্ত, পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, পুরপিতা দেবাশিস মিত্র, অতীত দিনের ফুটবলার দিলিপ বোস, মানস গাঙ্গুলী, পুর কর্মী শঙ্খ মুখোপাধ্যায়, সহ অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক সহ বিশিষ্ট ক্রীড়া সাংবাদিক ধারা ভাষ্যকার পূর্ণেন্দু চক্রবর্তী। ৭০-৭৩ এর ইস্টবেঙ্গল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক স্বপন সেনগুপ্ত বলেন অনেক ফুটবল খেলার মাঠে গিয়েছি।

কিন্তু এত সুন্দর মাঠে খুদেদের ফুটবলের প্রতি আসক্তি। এজিনিস দেখিনি। আগামী দিনে কতজন ফুটবলার হবে বলা মুশকিল। ঠিক ভাবে এই মাঠে খেললে মানুষের মতো মানুষ হবে। ফুটবল মাঠে এত ছেলে খেলছে। ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যায়। খোলামেলা এত সুন্দর পরিবেশ। এত উৎসাহ। এতগুলো ছেলে একসাথে খেলছে।

যথেষ্ট ইচ্ছাশক্তি রয়েছে। বলটা ভারি। জল কাদা মাঠ।চেষ্টা করে চলেছে। অতীতে দেখিনি। যাদের প্রতিভা আছে তারা বেড়িয়ে যাবে। যাদের নেই তারা ফুটবল মাঠে থেকে আগামী দিনে অনেক শিক্ষা পাবে।ভবিষ্যতে মনে পড়বে।আগামীতে ভালো কিছু করবে দৃঢ় বিশ্বাস বলেন স্বপন বাবু। পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহার ভূয়সী প্রশংসা করেন এত সুন্দর ভাবে ফুটবল অ্যাকাডেমির খুদে ছেলে মেয়েদের ফুটবলের জনপ্রিয়তাকে এগিয়ে নিয়ে চলেছেন।

পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা বলেন আগামীদিনে আইএফএ অনুমোদিত ফুটবল অ্যাকাডেমির বয়স ১৪ থেকে অনুর্ধ ১৮ পর্যন্ত পরিকল্পনা রয়েছে। ফুটবল অ্যাকাডেমি থেকে কলকাতা ময়দানে ছেলে মেয়েরা খেলবে। ভারতবর্ষে খেলার জায়গা তৈরি করবে। মাঠে উপস্থিত ছিলেন অতীত দিনের দিকপাল ফুটবলার দিলীপ বোস, সমীর বোস, দীপক নারায়ণ দত্ত, সাহেব ঘোষ, জাগ্রত সরকার, সুধীর দাস, গৌতম সরকার, স্বপন বোস, দীপক গাইন, প্রনব ব্যানার্জি, অসীম গাঙ্গুলী, পুরদলনেতা ডাঃ পংকজ কুমার অধিকারী, পুরপিতা নিখিল মালো, সুদীপ ঘোষ, পুরমাতা পূজা গুপ্ত, বেবি চক্রবর্তী, শোভা রায়, আরতি দাস মল্লিক, কুন্তলা সাহা অ্যাকাডেমির প্রশিক্ষক মানস গাঙ্গুলী, রাখি শিকদার প্রমুখ।

তিনটি গ্রুপের ফাইনালে চ্যাম্পিয়ন রানার্স ও ব্যক্তিগত পুরস্কার তুলে দেওয়া হয় এদিন। কচিকাচাদের উৎসাহ উদ্দীপনা ছিল চোখে পড়ার মতো।অ্যাকাডেমির অন্যতম প্রশিক্ষক মানস গাঙ্গুলী বলেন প্রায় ১১০জন শিক্ষার্থী রয়েছে অ্যাকাডেমির বিভিন্ন বয়সের। কম্পিটিশন বা প্রতিযোগিতামূলক খেলার অংশগ্রহণ এর জন্য গ্রুপের তিনটি বিভাগে আন্ত বিভাগের ছেলে মেয়েদের নিয়ে নার্সারি লিগ প্রতিযোগিতা এক মাস ব্যাপী।