অবতক খবর,২৯ জানুয়ারি,নববারাকপুর: শিক্ষা আনে চেতনা ।চেতনা আনে পরিবর্তন। শিক্ষা মানুষের কাছে আলো পৌছে দিচ্ছে। আলোকিত করে জীবনের চলার পথ পরিবর্তন করছে নববারাকপুরের ত্রিধারা। বহু ছেলে মেয়ে সুপ্রতিষ্ঠিত সংস্থার থেকে পাঠ্য পুস্তক নিয়ে উচ্চ শিক্ষায়। রবিবার সকালে নববারাকপুরের বহুমুখী সামাজিক সংগঠন ত্রিধারার উদ্যোগে স্হানীয় আলোকতীর্থ প্রাথমিক বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে প্রথম শ্রেণী থেকে স্নাতক স্তর পর্যন্ত ৫০ জন পড়ুয়াদের পাঠ্য পুস্তক ও শিক্ষণ সামগ্রী বিতরণ করা হয়।
প্রয়াত শিক্ষাবিদ মিহির সেনগুপ্ত, সংঘ সদস্যা মীতা দাস স্মরণে ৪১ তম বর্ষের পুস্তক বিতরণী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, দমদম কিশোর ভারতী বিদ্যালয়ের শিক্ষক অজিত দে, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের গবেষক অধ্যাপিকা সঞ্চরিতা দত্ত, সমাজসেবী প্রনয় কান্তি চক্রবর্তী, শুভজিৎ শীল, অসিত বন্দ্যোপাধ্যায়, পড়ুয়া শুভাঙ্খী হালদার, সৃজা মন্ডল সহ বিশিষ্ট গুনীজনেরা।সংস্থার সম্পাদক গৌতম মজুমদার জানান নববারাকপুর সহ পার্শ্ববর্তী অঞ্চলের অর্থনৈতিক ভাবে দুর্বল অসহায় পঞ্চাশ জন পড়ুয়াদের মধ্যে তাদের চাহিদা মতো পাঠ্যপুস্তক খাতা কলম প্রীতি উপহার তুলে দেওয়া হল। বই পাওয়ার উপযুক্ত শ্রেষ্ঠ পাচঁ জন পড়ুয়াদের প্রয়াত শান্তি ঘোষ স্মরণে, প্রয়াত দুলালী দে স্মরণে, প্রয়াত দেবী গুহ মজুমদার স্মরণে, প্রয়াত ইন্দ্রজিৎ বসু স্মরণে এবং সুবোধ মুখোপাধ্যায় স্মরণে পুস্তক বিতরণ করা হয় এদিন।পুরপ্রধান প্রবীর সাহা বলেন শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড। মেরুদন্ড কে শক্তিশালী করতে গেলে শিক্ষার প্রয়োজন।ত্রিধারা ধারাবাহিক ভাবে এই বই বিতরণ কাজটা করে চলেছে। অধ্যাপিকা সঞ্চরিতা দত্ত ডেডিকেশন না থাকলে এরকম হয় না। ধরে রাখা বিরাট কাজ। কোন ব্যহ্যিক আড়ম্বর নেই। অধ্যাপিকা সঞ্চরিতা দত্ত বলেন দেশে নাগরিক হিসেবে বেঁচে থাকতে গেলে শিক্ষা দরকার।শিক্ষা কেউ ছিনিয়ে নিতে পারে না। শিক্ষা যত বেশি গ্রহন করতে পারবে তত বেশি ভালভাবে বাচঁতে পারবে। মানব সম্পদ কে সৃষ্টি করতে পারবে।মানব সম্পদের অগ্রগতিতে শিক্ষা ও স্বাস্থ্য খেয়াল রাখতে হবে পড়ুয়াদের। যে দেশের মানব সম্পদ যত বেশি সে দেশ তত বেশি উন্নত। গবেষণায় প্রমানিত বলেন শ্রী মতি দত্ত। উপস্থিত বিশিষ্ট জনেরা পড়ুয়াদের আর্শীর্বাদের পাশাপাশি তাদের উচ্চ শিক্ষা উৎসাহ প্রদানে অনুপ্রাণিত করেন। পড়ুয়ারা ও অভিভাবক দের উপস্থিতি ছিল লক্ষনীয়।শুরুতে সংস্থার সদস্যরা উদ্বোধনী সমবেত সংগীত পরিবেশন করেন ।সংস্থার মহিলা সদস্যদের আন্তরিকতা ও ছিল বেশ ভালো।উল্লেখ্য ত্রিধারার সংগঠন থেকে বই পেয়ে বহু ছেলে মেয়ে দেশ বিদেশের সুপ্রতিষ্ঠিত হয়েছেন কেউ বা গবেষণা ও করছেন। এমনও নজির রয়েছে এলাকায়।
