অবতক খবর,৩ জুলাই,নববারাকপুর: দুবছর পর এবার রথযাত্রায় নববারাকপুরে ও আমজনতার ঢল নেমেছিল বিভিন্ন ওয়ার্ডে। শুক্রবার রথে চড়ে জগন্নাথ, বলভদ্র ও শুভদ্রা পৌঁছে গেলেন মাসির বাড়ির গুন্ডিচায়। পুরীর জগন্নাথ দেবের রথযাত্রার পাশাপাশি নববারাকপুর শহরেও ভক্তের ঢল নামল। সাথে কীর্তনের দল।

শুক্রবার বিকেলে নববারাকপুর পুরসভার ১নং ওয়ার্ডের মিলন সমিতির সুপ্রাচীন রথযাত্রায় সূচনা করেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য।মন্ত্রী রথের দড়ি টানলেন।মন্ত্রী বলেন স্নানযাত্রা থেকে পালিত হয়। রথযাত্রা এক শুভ দিন। দুর্গাপুজোর খুঁটিপুজো ও করে এই দিনে। বিভিন্ন ভাবে মানুষ সামিল হন। নববারাকপুর পুরসভার ১নং ওয়ার্ডের সুপ্রাচীন প্রায় পঞ্চাশ বছরের রথযাত্রা উৎসব পালন করে কাউন্সিলর হৃষিকেশ রায়। রথের দড়ি ধরতে পারলাম। এটা সৌভাগ্য।

জগন্নাথ দেবের কৃপা সকলের উপর থাকুক। জগন্নাথ দেব সকলে মঙ্গল করুন। এটাই প্রার্থনা ।বাংলা কিভাবে উড়িষ্যার সঙ্গে এক হয়ে গিয়েছে। বাংলায় আগে পুরির রথযাত্রা হত। আত্মীয়তায় বাংলা থেকে কুড়ি গুন দর্শনার্থী গিয়েছে জগন্নাথ দেবকে দর্শন করতে। জগন্নাথ দেব তিনি সাধারণ মানুষের আরাধ্য দেবী। বাংলা জগন্নাথ দেব মিলেমিশে এক। এরপর মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য যান পুরসভার ৪নং ওয়ার্ড কমিটির শীতলা মন্দির প্রাঙ্গণে সৌহার্দ পদযাত্রায় রথের দড়ি টেনে রাস্তায় ঝাড়ু দেন।

উপস্থিত ছিলেন পুরসভার পুরপ্রধান প্রবীর সাহা, উপপুরপ্রধান স্বপ্না বিশ্বাস, স্হানীয় কাউন্সিলর কৃষ্ণা বোস, নির্মিকা বাগচী, হৃষিকেশ রায়, দেবাশিস মিত্র,মনোজ সরকার, সুদীপ ঘোষ, বেবি চক্রবর্তী, তৃণমূল ছাত্র নেতা সৌমিক বোস সহ ওয়ার্ডের বরিষ্ঠ মা ভাই বোনেরা রথযাত্রায় সামিল হয়। সৌভ্রাতৃত্ব সম্প্রীতির পদযাত্রায় মানুষের ঢল নামে।