অবতক খবর,২ আগস্ট,নদীয়াঃ নদীয়ার কৃষ্ণগঞ্জের শিব নিবাসে সাধারণ নাগরিকরা জেলা ভাগের প্রতিবাদে সোচ্চার হলেন । দেশ ভাগের আগে নদীয়ার মহকুমা ছিল পাঁচটা রানাঘাট কৃষ্ণনগর মেহেরপুর চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া । দেশভাগের সময় নবদ্বীপ বাদ দিয়ে সমস্ত অংশটাই পড়ে গেছিল পূর্ব পাকিস্তানের মধ্যে । সেই সময় নদীয়ার রানী জ্যোতির্ময়ী দেবী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় কাবুলাহেরী প্রমথ নাথ শুকুল সাবিত্রী দাস সহ বিশিষ্ট স্বাধীনতা সংগ্রামীদের লড়াই শুরু হয় ।

শেষ পর্যন্ত লর্ড মাউন্টব্যাটেন এই আন্দোলনকারীদের সাথে আলোচনায় বসেন এবং তাদের আন্দোলনের কারণ কি জানতে চান ।তখন আন্দোলনকারীরা বলেন যে এটা হিন্দু প্রধান জায়গা রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগর এটা ভারত ভূখণ্ডে থাকার কথা কিন্তু পাকিস্তানের মধ্যে পড়ে গেছে আমরা মানব না ।

তখন মাউন্টব্যাটেনের নির্দেশে স্যার সিরিল র‍্যাড় ক্লিক ম্যাপ খুলে দেখেন ভুল তারই হয়েছে এই ম্যাপ অনুযায়ী রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগর সদর মহকুমা ভারতে থাকার কথা । ১৮ই আগস্ট নদীয়ার রানাঘাট এবং কৃষ্ণনগর মহকুমা ভারতের সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল তাই ১৮ তারিখ নদীয়ার স্বাধীনতা দিবস হিসেবে পালিত হয় বা ভারতভুক্ত দিবস হিসেবে ‘ |

সেই নদীয়া কে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙার কথা ঘোষণা করেছেন এর প্রতিবাদেই শিবনিবাসে প্রতিবাদদে সোচ্চার হলেন স্থানীয় বাসিন্দারা । তাদের দাবি অবিলম্বে মুখ্যমন্ত্রী প্রত্যাহার করুক তার সিদ্ধান্ত । নদীয়ার গর্ব শিব নিবাস কে নদীয়ার মধ্যে রাখুন এটাই তাদের আবেদন ।