নদীয়া জেলায় হয়ে গেল ২৬ তম দেহসৌষ্ঠব প্রতিযোগিতা

অবতক খবর,নদীয়া: কথায় আছে বাংলার নারীর স্মিত হাসি, পুরুষের সুঠাম পেশীর কদর দেশের সর্বত্র। আদিকালের সেই মুগুরভাজা, পরবর্তীতে ভারোত্তোলন- বেঞ্চ প্রেস -বাটারফ্লাই- বারবেল কার্লিং-ডাম্বেল- প্রেস পিচার- লেগ প্রেস- সীটাপ সহ নানা শারীরিক কসরত এর মাধ্যমে মেদ ঝরিয়ে বেশি প্রকাশিত করার আধুনিক নামই হলো জিম। বর্তমানে আর ধাপ এগিয়ে অত্যাধুনিক যন্ত্রপাতি র সহযোগিতায় উন্নত পদ্ধতিতে এই অনুষ্ঠানের নাম মাল্টি জিম।

রাজ্যের তিনটি পৃথক অ্যাসোসিয়েশনের সহযোগিতায় মূলত এ ধরনের প্রদর্শনীতে শহর শ্রী, জেলা শ্রী, গোল্ড মেডেলিস্ট, ন্যাশনাল চ্যাম্পিয়ন হিসাবে সংবর্ধিত ও পুরস্কৃত করা হয় কৃতীদের। গতকাল পয়লা ফেব্রুয়ারি মহাবীর ব্যায়াম সংঘের (বীল্লেশ্বরী লেন, শান্তিপুর)পরিচালনায়নদীয়া জেলা বডি বিল্ডিং এন্ড ফিজিক্যাল কালচার অ্যাসোসিয়েশনের অনুমোদনে, দেহ ওজন অনুযায়ী তিনটি বিভাগে আয়োজিত হল “নদীয়া শ্রী” এবং “শান্তিপুর শ্রী”। নদিয়া শ্রী তে জেলার বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আগত 52 জন প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে ,তারমধ্যে শুভদীপ বাগ চ্যাম্পিয়ন ও রানার্স আপ হয়।

শান্তিপুরের বিভিন্ন ক্লাবে নিয়মিত সারাবছর অনুশীলন করা 30 জন অংশগ্রহণকারীর মধ্যে “শান্তিপুর শ্রী” হিসেবে ঘোষিত হয় সুবোধ সাহা। আয়োজক মহাবীর ব্যায়াম সংঘের সম্পাদক নিশীথ সরকার জানান গ্রুপে পাঁচজনকে সামান্য অর্থ সহযোগিতা এবং চ্যাম্পিয়ন কে 3000 টাকা রানার্স কে 1000 টাকা নগদ ট্রফিসহ প্রদান করতে সক্ষম হয়েছি আমরা। হাজার 1853 সাল থেকে শুধুমাত্র সদস্যদের অক্লান্ত পরিশ্রমে এগিয়ে চলেছে ক্লাব। যার মধ্যে সরকারি সহযোগিতা বলতে একবারই মিলেছে কিছু অর্থ, যা প্রয়োজনের নিরীখে খুবই সামান্য।”
অ্যাসোসিয়েশনের জেলা সম্পাদক তারক সেন জানান “এই ব্যয়বহুল অনুশীলনে খাদ্য খাবার জোগান না দিতে পারার ফলে, বহু উদ্যমীর প্রীতি তো হারিয়ে যায় অভাব-অনটনের মাঝে।”

সৌরভ দত্ত ,রাজু দেব এদের মত জেলা রাজ্য চ্যাম্পিয়ন দের কাছ থেকে জানা যায়, একমাত্র শীতকালে শারীরিক কসরত দেখানোর উপযুক্ত সময়, গরমের সময় শারীরিক নানা অসুবিধা জনিত কারণে এই সময়টা বেছে নেওয়া হয় এ ধরনের অনুষ্ঠানের। প্রদর্শিত অনুষ্ঠান দেখে অনেকেরই সুপ্ত বাসনা জাগে দেহ চর্চার। তাই এ ধরনের অনুষ্ঠানের ব্যপ্তি ঘটানো, সমাজে সকল স্তরের মানুষের সহযোগিতা প্রার্থনা করেছেন ক্লাব সদস্যরা।