অবতক খবর,২৩ জানুয়ারিঃআন্তর্জাতিক আলোড়ন সৃষ্টিকারী নেতাজী সুভাষচন্দ্র বোসের আজ 127 তম জন্মদিন। আজ এগারোটায় তারই নামের অনুকরণে এই অঞ্চলের উল্লেখযোগ্য ট্রেড ইউনিয়ন নেতা সুভাষ বোস শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন।

বার্ধক্য রোগে তিনি আক্রান্ত হয়েছিলেন। ৭০ দশকে কল্যাণী শিল্পাঞ্চলে উদ্বাস্তু ও শ্রমিক আন্দোলন গড়ে উঠেছিল সেই আন্দোলনের অন্যতম সংগঠক ছিলেন তিনি। তিনি অত্যন্ত জনপ্রিয় হয়ে উঠেছিলেন।

সহজ সরল ভাষায় বক্তৃতা দিয়ে তিনি জনমনে উত্তেজনার সৃষ্টি করতে পারতেন। কাঁচরাপাড়াতেও তিনি বিভিন্ন সময়ে বক্তৃতা দিয়ে গিয়েছেন। বামফ্রন্ট সরকারের আমলে‌ ঘেরাও শব্দটি বিশাল পরিচিতি পেয়েছিল। পড এই কবরস্থান মাঠে কৃষক নেতা হরেকৃষ্ণ কোঙার বক্তৃতা দেবার আগে সুভাষ বোস বলেছিলেন, ঘেরাও বিষয় নিয়ে এবং মালিকপক্ষকে ঘেরাও করা নিয়ে উচ্চ নেতৃত্ব যাই বলুক না কেন বামপন্থীরা ক্ষমতায় এলে শ্রমিক স্বার্থে ঘেরাও চলবে। রাজনৈতিকভাবে তিনি সিপিএমের আদর্শ অনুপ্রাণিত হলেও পরবর্তীতে পিডিএস এ যোগদান করেছিলেন সিপিএমের জনপ্রিয় নেতা সুভাষ চক্রবর্তী সঙ্গে তার অত্যন্ত হৃদ্যতা ছিল।

কল্যাণীতে বঙ্গ সংস্কৃতি উৎসবের অন্যতম আয়োজক ছিলেন তিনি। কল্যাণী টাউন ক্লাবের সঙ্গে তার সংযোগ ছিল অত্যন্ত আন্তরিক। সেখানে তিনি ক্লাব সংগঠক হিসেবেও কাজ করে গিয়েছেন।

১৯৭১, ১৯ ৮২, ১৯৮৭ সালে তিনি চাকদা কেন্দ্র থেকে এবং ১৯৯১ সালে পশ্চিম রানাঘাট কেন্দ্র থেকে সিপিএম প্রার্থী হিসেবে বিধায়ক নির্বাচিত হয়েছিলেন।

আজ তার মরদেহে মাল্যদান করেন সিপিএম নেতা সুমিত দে, পিডিএস নেত্রী অনুরাধা দেব, লোকশিল্পী শুভেন্দু মাইতি, কল্যাণী পৌরপ্রধান ও প্রাপ্ত পৌর প্রধান যথাক্রমে নীলিমেশ রায়চৌধুরী এবং শান্তনু ঝা, বারাকপুর প্রাক্তন সাংসদ তড়িৎবরণ তোপদার প্রমুখ।