অবতক খবর, নদীয়া: পরিচালক, প্রযোজক শহর ছাড়িয়ে প্রাকৃতিক উপাদানে ভরপুর পরিবেশের খোঁজে  শহর থেকে মফস্বলে। সেখানকার রীতিনীতি , সাধারণ মানুষের জীবন শৈলী, বিভিন্ন সমস্যা, তুলে ধরার প্রয়োজন বোধ করে ইন্ডাস্ট্রি। অথচ চলচ্চিত্র উৎসব বা সিনেমা প্রকাশ পায় প্রাণহীন শহরের ঝাঁ-চকচকে ইমারতের মাঝে।

একটু অন্যভাবে বিষয়টির সরলীকরণ করতে শান্তিপুরের সুসন্তান রোহিতাশ্ব মুখার্জি এলাকার কিছু সংস্কৃতিপ্রিয় মানুষকে সাথে নিয়ে গঠন করেছেন শান্তিপুর ইন্টারন্যাশনাল ফিল্ম ফেস্টিভাল নামে একটি কমিটি গঠনের মাধ্যমে শান্তিপুর গীতা প্যালেসে ১৫ এবং ১৬ ফেব্রুয়ারি আয়োজন করেছেন। স্থানীয় রঙ্গপীঠ ,সাজঘর , সহ বেশ কিছু সংস্থাও সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে।

উৎসব উপলক্ষে প্রকৃতি বিলাস মাটির তৈরি সামগ্রী, বইয়ের স্টল বাড়তি মনোরঞ্জন করে উপস্থিত দর্শকদের। দুদিন ব্যাপী এই উৎসবের দেশ-বিদেশের ১৩ বেশি স্বল্প ও পূর্ণ দৈর্ঘ্যের ছবি দেখানো হবে। আজ প্রথম দিনে বিশিষ্ট সংগীত শিল্পী সিদ্ধার্থ রায় (সিধু) এই উৎসবের আনুষ্ঠানিক সূচনা করেন। প্রথম ছবি হিসেবে প্রদর্শিত হয় সিদ্ধার্থ রায়ের স্বল্প দৈর্ঘ্যের অসাধারণ ছবি “হাবাব”। চিলেকোঠার চিঠি, চকলেট ,প্রাপ্তি, তোষক, অনিবার্য, রাজলক্ষ্মী ও শ্রীকান্ত, কমলা, রকেট এর মত বিখ্যাত কিছু ছবি দেখতে পেয়ে উপস্থিত দর্শক আপ্লুত। উপস্থিত দর্শক সংখ্যা কম প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে আগত প্রযোজক-পরিচালকরা জানান সংখ্যা অল্প হলেও শান্তিপুরে এসে অনুপ্রাণিত হয়েছি, অডিয়েন্স এর পক্ষ থেকে একটি মোবাইলও রিং হয়নি, প্রদর্শিত হওয়ার সময়। বা অত্যন্ত ব্যস্ততার কারণে মাঝপথে কাউকে বেরিয়ে যেতে দেখা যায়নি, সুতরাং যারা এসেছেন তাঁদের মনঃসংযোগ আমাদের অনুপ্রাণিত করে, সেক্ষেত্রে সংখ্যাটা গুরুত্বপূর্ণ নয়। আন্তরিকভাবে তারা বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ সুচিন্তিত মতামত জানিয়েছেন, যেটা আমাদের কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর এজন্যই আমাদের এ আয়োজন।