অবতক খবর :: নদীয়া ::    ভারতবর্ষের মধ্যে আগ্রার মতো কতিপয় দু-একটি জায়গায় চাঁদিরুপার কাজ হয়। সেক্ষেত্রে শান্তিপুরের নাম যথেষ্ট প্রশংসনীয়। শুধু রুপা নয় সোনার ক্ষেত্রেও মহিলাদের ব্যবহার্য্য গহনার শিল্পী বাংলার বিভিন্ন জায়গায় থাকলেও আকৃতিতে বড় ঠাকুরের ব্যবহৃত গহনা,  টায়রা, কোটি বন্ধন, মুণ্ডমালা, পিঠ বস্ত্র, রিস্লেট বুকপাটা, বাজু, থেকে শুরু করে পঞ্চপ্রদীপ, কোশাকুশি, ঘন্টা, যাবতীয় কাজ শান্তিপুরের সুপ্রসিদ্ধ।

 

তারাপীঠের মায়ের গলার বৃহৎ জবা ফুলের স্বর্ণ মালা, মুকুট সবটাই তৈরি হয়েছে শান্তিপুরে। শান্তিপুর নিশ্চিন্তপুরে শিল্পী শশাঙ্ক প্রামানিক একনাগাড়ে দীর্ঘ চার দিনের অক্লান্ত পরিশ্রমে মায়ের মুকুট এর কাজ সমাপ্ত করেছেন সদ্য। এ ব্যাপারে তিনি শান্তিপুরের আরেক শিল্পী প্রসেনজিৎ সেনের কৃতিত্ব তুলে ধরেন, তিনি জানান সংগীতের পৃষ্ঠপোষক সন্দীপবাবু তবলা ,হারমোনিয়াম , জলতরঙ্গ, বাঁশি, হাতুড়ি প্লায়ার্স, সহ অসাধারণ কর্ম নৈপুণ্য তার নিদর্শন রেখেছেন, তিনি শশাঙ্ক বাবুকে বিভিন্ন বড় কাজের যোগাযোগ করিয়ে দিয়ে আরো কর্মদক্ষ করে তুলেছেন।

অন্যদিকে সন্দীপবাবু জানান এ ধরনের বড় আকৃতির কোন কাজ করতে গেলে শান্তিপুরের শশাঙ্ক বাবু এবং অসীম দত্ত ছাড়া বিশেষ আর কাউর হাতের কাজের দক্ষতা নজর কাড়ে না। হয়তো ধৈর্যের কারণেই এই পেশায় নতুন প্রজন্মের ছেলেদের খুব একটা ঝুঁকতে দেখা যাচ্ছে না! সেটাই দুশ্চিন্তার কারণ ।