অবতক খবর,১ জানুয়ারি: শ্রীশ্রী সমীর ব্রহ্মচারী বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘ-র ‘অখণ্ড গীতা মহাযজ্ঞ প্রতি বছরের ন্যায় এবছরও ইংরেজি নতুন বছরের প্রথম দিনে ঠাকুর শ্রীশ্রী সমীর ব্রহ্মচারী বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘে অনুষ্ঠিত হল ‘অখণ্ড গীতা মহাযজ্ঞ। এই যজ্ঞে গীতার ৭০০ শ্লোকের প্রতিটি পাঠের সাথে সাথে আহুতি প্রদান করা হয়। বিগত ২৬ বছর ধরে নব ব্যারাকপুরের তালপুকুরের বিশ্ব সেবাশ্রম সঙ্ঘ প্রাঙ্গণে সঙ্ঘ প্রতিষ্ঠাতা ঠাকুর শ্রীসমীরেশ্বর ব্রহ্মচারী এই যজ্ঞের আয়োজন করে আসছেন।

এখানে যজ্ঞবেদী নির্মাণের সময় বেদীতে কুরুক্ষেত্রের জ্যোতিস্মরের মাটি মিশিয়ে দেওয়া হয়। কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধের সময় ভগবান শ্রীকৃষ্ণ যে বট ও অশ্বত্থ গাছের নিচে রথ থামিয়ে অর্জুনকে গীতা উপদেশ প্রদান করেন সেই স্থানকে জ্যোতিস্মর বলা হয় এবং ওই বটকে জ্ঞানবট বলা হয়। সেই জ্ঞানবটের চারাকে এদিন বিশেষরূপে পূজা করা হয়।

যজ্ঞবেদীতে থাকেন ঋক, সাম,যজু ও অর্থববেদের চার ব্রাহ্মণ। অধূর্যরূপে যজ্ঞ পরিচালনা করেন আচার্য ঠাকুর শ্রীসমীরেশ্বর ব্রহ্মচারী নিজে। তিনি জানালেন—এখানে যজ্ঞের সামগ্রী বা সমিধ নির্মাণ করা হয় বিভিন্ন ভেষজ এবং হিমালয়ের বিভিন্ন জড়ীবুটি সহযোগে। সমিধ প্রস্তুত হয় তেজপাতা, চন্দনগুড়া, এলাচ, দারুচিনি, লবঙ্গ, আখরোট, কিসমিস, খেঁজুর, আমলকি, হরিতকি, বহেরা, ঢ্যাপ, ধান, যব, তিল, সর্ষে সহ বিভিন্ন হোমসামগ্রী দিয়ে।

এর সঙ্গে মেশানো হয় খরিদ, আপামাং, ঔড়ড়ম্বু, পিপল, শিরিষ, শমীক, শ্বেত আকন্দ, বেল, যগডুমুর, পলাশ সহ বিভিন্ন গাছের কাঠের গুড়ো। যজ্ঞে এছাড়াও ব্যবহৃত হয় আম, কাঠাল, নিম, বেল, চন্দন, পলাশ, যগডুমুর জয়ন্তী সহ বিভিন্ন কাঠ এবং বিভিন্ন গব্য ঘি। এবছর গীতা যজ্ঞ ২৭তম বর্ষ পূর্ণ করল।