অবতক খবর,২৬ ডিসেম্বরঃ চারিদিকে উন্নয়নের বাতাবরণ, আর কিছুদিনের মধ্য নির্ঘন্ট জারি হলে চারিদিক সাজোসাজো রব হবে। সারাদিন কেবল প্রতিশ্রুতি ধ্বনিত হবে৷ শুনতে অবাক লাগলেও কয়েকটি ঘর এবং তাতে বসবাসকারী মানুষগুলোর দিকে নজর কেমন ভাবে পড়েনি সরকার বা প্রশাসনের। রাস্তাঘাট, আলো, জল যেটা ন্যূনতম প্রয়োজন সেই সুবিধাটুকুও পায়নি কৈগড়িয়া গ্রামের বাসিন্দারা।

ভরতপুর ২ ব্লকের সালার থানার অন্তর্ভুক্ত টিয়া অঞ্চলের কৈগড়িয়া গ্রাম, যার প্রচলিত নাম কৈ গ্রাম। উন্নয়নের লেশমাত্র ছোঁয়া নেই। যেন ১০০ বছর পিছিয়ে ভরতপুর ২ টিয়া অঞ্চলের কৈগড়িয়া গ্রাম। না আছে রাস্তা ঘাট না আছে কোনো পানীয় জলের সুব্যবস্থা। যাতায়াতের জন্য সম্পূর্নভাবে নির্ভরশীল নৌকার উপর। কারন সেখানে রাস্তা নেই। নৌকা করেই সব কাজ করতে হয়। যেন ওটাই প্রধান যানবাহন। গ্রামের মধ্যে প্রবেশ বা গ্রাম থেকে বেড়াতে গেলে এক মাত্র ভরসা নৌকা কারন গ্রামের চারিদিকে নদী। বহু বাড়ি নদীতে ভেসে গিয়েছে। বর্তমানে ৬০ থেকে ৭০ টি পরিবারের বাস। সুবিধা থেকে বঞ্চিত হওয়ায় এবং বহু বাড়ী নদীতে তলিয়ে যাওয়ায় অনেকেই গ্রামছাড়া হয়েছেন।

এলাকাবাসীদের বক্তব্য, প্রধান চলাচলের মাধ্যম জলপথ। হাসপাতাল, স্কুল, বাজার সব ক্ষেত্রে যাওয়ার মাধ্যম নৌকা। এমনকি গ্রামের ছেলেমেয়েদের বিয়ের ক্ষেত্রেও সমস্যা হয়। যে রাস্তাটি আছে তাতে গাড়ী যাওয়া বিপদজ্জনক। স্থানীয় এক সরকারী স্কুলের শিক্ষক জানান, স্কুলে কেবল ৩৫ জন পড়ুয়া। প্রধানকে অনেক বলার পর স্কুলের সামনে মাটির রাস্তাটা একটু ঢালাই করে দিয়েছে। যাতায়াতে সমস্যা, সন্ধ্যা নামলে পারাপার হওয়াটা বিপদজনক হয়ে যায়। তবে ভরতপুর ২ ব্লকের বিডিও আশীস মন্ডল জানান, আবাস যোজনার ঘর পেয়েছেন কয়েকজন, রাস্তার কাজ শুরু হবে। প্রত্যন্ত এলাকা তবে সে গ্রাম ব্লক অন্তর্ভুক্ত কাজ শুরু হয়েছে সরকারী সুযোগ সুবিধা ওনারাও পাবেন।