অবতক খবর,২০ সেপ্টেম্বরঃ পূর্ব মেদিনীপুর জেলা জুড়ে আইমা বা অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশনের নাম জানেনা এমন কেউ বোধহয় নেই। যদিও সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজনেরা এই সংগঠনে নাম লিখিয়েছিলেন বহু বছর আগেই। এই AIMA বা অল ইন্ডিয়া মাইনোরিটি অ্যাসোসিয়েশনের প্রতিষ্ঠাতা পূর্ব মেদিনীপুরের পাঁশকুড়ার অন্তর্গত প্রতাপপুর দরবার শরীফের হুজুর সৈয়দ রহুল আমিন।

জেলা সহ জেলার বাইরে এমনকি ভিনরাজ্য যে কোন বন্যা, খরা, ভূমিকন্প কিংবা যে কোন সমস্যায় আইমার সদস্যরা বেরিয়ে পড়েন সৈয়দ রহুল আমিনের নির্দেশে।কোভিড সময়েও আইমা হাত বাড়িয়েছে মানুষের পাশে থাকার জন্য। তবে সৈয়দ রহুল আমিনকে “ভাইজান ” বলেই প্রচলিত। পাঁশকুড়া সহ জেলার সমস্ত ব্লকেই আইমার যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। আর যখনই ভোট আসে যে কোন রাজনৈতিক দলের বড়বড় নেতারা আসেন দোয়া বা আশির্বাদ পাওয়ার জন্য।আর ভাইজানের বার্তা গেলেই সংখ্যালঘু ভোট পেতে অসুবিধা হয় না।

এভাবেই দীর্ঘদিন ধরে হয়ে আসছে আইমার প্রতিষ্ঠাতা তথা প্রতাপপুর দরবার শরীফের হুজুর সৈয়দ রহুল আমিনের আশির্বাদ পেতে বহু বাম ডান নেতারা আসেন লুকিয়ে ছুপিয়ে। তবে গতবছর থেকেই কানাঘুসো উঠছিলো আইমা এবার হয়তো সরসরি রাজনৈতিক দল হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তবে আসন্ন পাঁশকুড়া পৌরনির্বাচনে হয়তো প্রত্যক্ষ কিংবা পরোক্ষ কোন রাজনৈতিক দলের সমর্থনে রাজনৈতিক ভোটযুদ্ধে নামতে চলেছে।কিছুদিন ধরে পাঁশকুড়ায় প্রবল আলোচ্য বিষয় হয়ে উঠেছে। তবে তৃণমূলকে যে সমর্থন করছে না আইমা তা শতভাগ পরিস্কার।যদিও এবিষয়ে পাঁশকুড়া টাউন তৃণমূল কংগ্রেসের সভানেত্রী প্রাক্তন মন্ত্রী সৌমেন মহাপাত্রের স্ত্রী সুমনা মহাপাত্র সাংবাদিক বৈঠকে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষজনেদের আবেদন জানান, কোনভাবেই আইমাকে সমর্থন নয়।আইমাকে সমর্থন করলে পাঁশকুড়া পৌরসভায় বিজেপিকে ফায়দা পাইয়ে দেওয়া হবে। যদিও এই বিষয়ে একান্ত সাক্ষাতকারে আইমার প্রতিষ্ঠাতা সৈয়দ রহুল আমিন জানান, এই মুহুর্তে সরাসরি রাজনীতিতে আসছে কিনা স্পষ্ট করে না করলেও বাম বা কংগ্রেসের সাথে হাতমিলিয়েও পাঁশকুড়া পৌরভোটে নামতে পারেন, এমনটাই আশঙ্কা রাজনৈতিক মহলে।তবে এদিন রহুল আমিন সুমনা মহাপাত্রের সাংবাদিক বৈঠকের পরিপেক্ষিতে জানান, উনি সম্ভবত ভয় পেয়েছেন।তাই এসব বলছেন। আগামীদিন আইমার কি পদক্ষেপ হবে তা জানিয়ে দেওয়া হবে।তবে এদিন রহুল আমিন আরো বলেন, আইমা যদি পাঁশকুড়া পৌরভোটে নামে, তাহলে তৃণমূল পৌরসভায় বোর্ড গড়তে পারবেনা।শুধু মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ আইমাকে সমর্থন করে তা নয়, বহু হিন্দু সম্প্রদায়ের মানুষ আইমার পাশে আছে বলে জানান সৈয়দ রহুল আমিন।

তবে পাঁশকুড়ার রাজনীতিতে আইমার বড় প্রভাব ঘটতে চলেছে তা তৃণমূল নেতৃত্ব আগেথেকেই টের পেয়েছে। তাই তারাও যে দলকে ভাঙতে না দেওয়ার চেষ্টা করবে সেবিষয়ে সন্দেহ নেই।তবে এখন একটাই দেখার বিষয়, আইমা আসন্ন পৌর নির্বাচনে সরাসরি লড়বে না অন্যকোন দলের সহযোগী হয়ে লড়বে তা দেখার বিষয়। পাশাপাশি আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনেও কি আইমা ভোটযুদ্ধে নামবে সেই দিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।