কর্ম গেছে দূরে,ধর্মভয় দেশ জুড়ে। কিভাবে জনসঙ্গীত-গণসঙ্গীতের বদলে ধর্মসঙ্গীত বেজে চলেছে, শুনুন

ধর্মসঙ্গীত
তমাল সাহা

ভাত ও নোকরির কথা দূরে চলে গেছে,
এসো এখন ভোটের গল্প বলি।
পার্টিতে জনতা মানুষ শব্দ দুটি পড়ে থাকুক,
ধর্মের নামে উদ্যত খড়্গ দুটি—
হাঁড়িকাঠ পাতা আছে, দেবো নরবলি।

আমার আছে রাম পার্টি।
তোর আছে নামকীর্তনের দল।
আমরা দুজন ধর্মভজা—
হরে রাম হরে কৃষ্ণ বল্।

তুই দেখাস তো অযোধ্যা,
আমি দেখাই দীঘা,
তুই বুনো ওল তো কি
আমিও তেঁতুল বাঘা।

তোর অমিত আছে থাকুক।
আমার আছে অনু—
আকারে বচনে দুজনেই কমবেশি
যে যার দলের হনু।

তুই গড়বি রাম মন্দির,
আমি চুষবো নাকি কলা!
জয় জগন্নাথ গড়ব সৌধ
ভক্তপূর্ণ দীঘা বালুকাবেলা।

তুই বাজাবি পাঞ্চজন্য।
ভেরুয়ার মতো ওড়াবি গেরুয়া,
মুখে হর হর ব‍্যোম!
আমি তৃণভোজী নাকি!
বাজাই হাজার হাজার খোল করতাল,
চড়াম চড়াম ঢাক দমাদম।

তুই রামনবমী,
আমি বজরঙ্গবলী মঙ্গলবার।
ভালোবাসার অন্য নাম পরকীয়া—
আমি তোর প্রেমিকা,
তুই তো পুরানো প্রেমিক আমার।

তুই তো গো-রক্ষক, নিয়ে যাবি রথ,
আমি সেই পথে ছেটাবো গোবর জল।
দুজনাই আড়চোখে তাকাবো পরস্পর—
জোরসে হরে কৃষ্ণ হরে রাম বল্।

আসলে তুই আমার রাম,
আমি তোর সীতা।
গীতায় রেখে হাত পরস্পরে গোপন আলিঙ্গন,
আয়! আরো কাছে আয়,
এই ফাঁকে সেরে ফেলি আবিষ্ট চুম্বন।