অবতক খবর,১০ মার্চ : কেন্দ্রীয় হারে মহার্ঘভাতা এবং বকেয়া ডিএ-র দাবিতে রাজ্যজুড়ে পালিত হচ্ছে সরকারি কর্মীদের ধর্মঘট। জরুরি পরিষেবা ছাড়া সমস্ত সরকারি দফতর, স্কুল-কলেজ, হাসপাতালে ঝাঁপ বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নিয়েছে ৫৫টি সরকারি কর্মচারি সংগঠনের সংগ্রামী যৌথ মঞ্চ। যদিও এই ধর্মঘটের তীব্র বিরোধিতা করেছে শাসক দলের সংগঠন। এই পরিস্থিতিতে নবান্নেও কড়া পদক্ষেপ করা হল। নবান্নে এদিন আইডি কার্ড ছাড়া প্রবেশ নিষেধ করে দেওয়া হয়।

অর্থাৎ সরকারি কর্মচারীদের ঢোকার সময় পরিচয় পত্র দেখাতে হচ্ছে দায়িত্বপ্রাপ্ত পুলিশ আধিকারিকদের। অশান্তির আশঙ্কায় আজ নবান্নের বিভিন্ন গেটে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। বিভিন্ন সরকারি কর্মচারীকে দেখাতে হচ্ছে পরিচয় পত্র। তারপরই মিলছে নবান্ন ঢোকার অনুমতি। তবে আজ অন্যান্য দফতরের কোনও সরকারি কর্মী আপাতত নবান্নে ঢুকবেন না। শুধুমাত্র নবান্নে যারা রয়েছেন, তারাই শুধুমাত্র এখনও পর্যন্ত ঢোকার অনুমতি পেয়েছেন।

এদিকে, সরকারি দফতরে কর্মচারীদের উপস্থিতি নিয়ে আরও কড়া মনোভাব নবান্নের। বিভিন্ন জেলায় সরকারি দফতরে আজ উপস্থিতির হার কেমন? তার রিপোর্ট চেয়ে পাঠাল এবার নবান্ন। নবান্নের তরফে একটি “অ্যাটেনডেন্স ফরম্যাট”বিভিন্ন জেলাগুলিকে দেওয়া হয়েছে। আজকে মোট ৪ বার ইমেইল করে জেলাগুলিকে জানাতে হবে উপস্থিতির হার।

সকাল ১০:৪৫, দুপুর ১২টা, দুপুর ১.৩০ এবং বিকেল ৫ টা-এই চারটি সময় উপস্থিতির হার কত? পৃথক পৃথকভাবে ইমেইল করে জানাতে হবে নবান্নে। অর্থাৎ এই চারটি সময় উপস্থিতির হারের হেরফের হচ্ছে নাকি সেই বিষয় সম্পর্কে নিশ্চিত হতে চাইছে নবান্নের শীর্ষ মহল। পাশাপাশি কোন কোন সরকারি আধিকারিকরা অনুপস্থিত রয়েছেন, তাদের নাম সহ ডেজিগনেশনও পাঠাতে বলেছে নবান্ন। আজকের মধ্যেই রিপোর্ট পাঠাতে বলা হয়েছে জেলাগুলিকে।