অবতক খবর,১০ মার্চঃ আজ রাজ্য জুড়ে চলছে ধর্মঘট। এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন সিপিআইএম নেতৃত্বরাও। ডিএ’র দাবিতে যে ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়েছে তাতে দেখা যাচ্ছে বিপুল সাড়া পড়ছে। পিছিয়ে নেই বীজপুরও। আজ বীজপুরের বেশ কয়েকটি স্কুলে সরকারের প্রতিনিধি হিসেবে স্কুল পরিদর্শন করলেন হালিশহর ২ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রবীর সরকার এবং ৪ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মৃত্যুঞ্জয় দাস। তারা একসাথেই স্কুলগুলি পরিদর্শন করেন। স্কুল গুলোতে গিয়ে দেখা যায়,স্কুলে শিক্ষক-শিক্ষিকা এবং ছাত্র-ছাত্রীরা উপস্থিত রয়েছেন।

কিন্তু হালিশহরের একটি মাত্র স্কুল,মল্লিকবাগ হাই স্কুল কর্তৃপক্ষ এই ধর্মঘটকে সমর্থন করে স্কুল বন্ধ রেখেছেন। শুধুমাত্র উপস্থিত ছিলেন স্কুলের প্রধান শিক্ষক এবং একজন নন টিচিং স্টাফ। অন্যান্য শিক্ষক-শিক্ষিকা সহ ছাত্র-ছাত্রী, আজ কাউকেই স্কুলে দেখা যায়নি। আর এতেই ক্ষুব্ধ হন জনপ্রতিনিধিরা। তারা সমস্ত বিষয়গুলি দেখেন।

তারা বলেন,এই বিষয়টি নিয়ে আমরা উপর মহলে জানাবো। যেহেতু নবান্নের নির্দেশ ছিল যে, সমস্ত সরকারি প্রতিষ্ঠানে সকলকেই উপস্থিত থাকতে হবে। কিন্তু হালিশহরের মাত্র দুটি স্কুল এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছেন। প্রথম, হালিশহর মল্লিকবাগ হাই স্কুল, দ্বিতীয় হালিশহর রামপ্রসাদ বিদ্যাপীঠ।

অন্যদিকে মৃত্যুঞ্জয় দাস ও প্রবীর সরকার জানিয়েছেন, হালিশহর মল্লিক বাগ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক নিজেই ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুল আসতে বারণ করেছেন। খুবই অন্যায় হয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের সাথে। বিষয়টি আমরা উপরমহলে জানাবো।

অন্যদিকে মল্লিক বাগ হাই স্কুলের প্রধান শিক্ষক এ প্রসঙ্গে কথা বলতে গেলেই মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এবং কোন মন্তব্য করতে চাননি।

এখন প্রশ্ন উঠেছে স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যদের ভূমিকা নিয়ে। সাধারণত স্কুল পরিচালনার দায়িত্বে রয়েছে তৃণমূল। তবে কি তারা এই বিষয়টি টেরও পেলেন না? তবে কি মানুষের আইওয়াশের জন্যই এমন নীরব ভূমিকা পালন করলেন স্কুল পরিচালন সমিতির সদস্যরা?যারা স্কুল পরিচালন সমিতির দায়িত্বে রয়েছেন তারা তবে কি করলেন? হালিশহরের একটি স্কুল যে এভাবে বন্ধ থাকবে, তারা কি তা জানতেন না?

এইসব দেখে এই অঞ্চলের বিজেপির নেতৃত্বরা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন তবে বাম আর তৃণমূল কি একসাথে কোনো ঘোট পাকাচ্ছে?

অন্যদিকে এ প্রসঙ্গে বীজপুরের সিপিআইএম নেতৃত্বরা জানান, তৃণমূল সিপিএমকে ভয় পাচ্ছে। তৃণমূলের স্বপ্নেও সিপিএম দেখতে পাচ্ছে। আজকের এই ধর্মঘট তো সরকারি কর্মচারীদের ডাকা। সিপিআইএম শুধুমাত্র সমর্থন করেছে। তৃণমূলের দিন শেষ হয়ে এসেছে। তাই তারা ভয় পাচ্ছে এবং বিভিন্ন স্কুলে স্কুলে গিয়ে চমক ধমক করছে। যারা সমর্থন করার তারা করেছে। এই তৃণমূল নেতাদের মধ্যেই তাদের কোন আত্মীয় এই ধর্মঘটকে সমর্থন করেছে।