দোতলা থেকে তিনতলায় চলে গেল কাঁচরাপাড়া উপ পৌর প্রধানের চেম্বার

অবতক খবর,৩১ জানুয়ারিঃ আমাদের প্রতিবেদনে প্রকাশিত হয়েছিল যে,কাঁচরাপাড়ার পৌরপ্রধান কমল অধিকারীর পার্শ্ববর্তী যে ঘরটি উপ পৌর প্রধানের জন্য সংরক্ষিত ছিল। যেখানে উপ পৌর প্রধানের ফলক লাগানো ছিল। সেই কক্ষটি স্টোররুমে রূপান্তরিত হয়েছে। সেখানে কোন ফলক নেই এবং সেই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছিল যে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক কাউন্সিলররাই জানিয়েছিলেন সিআইসি অর্থাৎ পৌর পার্ষদদের বসার নির্দিষ্ট কোন কক্ষ নেই। এটা যে সত্যিই সেটা পরোক্ষেও স্বীকার করে নেওয়া হলো পৌর কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে। দেখা গেল যে, উপ পৌর প্রধানের কক্ষটিও নতুন করে সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে পৌরসভার ত্রিতলে এবং সেখানে সিআইসিদেরও বসার একটি কক্ষ করা হয়েছে। এটি অত্যন্ত সুসংবাদ।

পৌর কর্তৃপক্ষ বলতে চাইছেন, কোন কোন মিডিয়া ভুয়ো প্রচার করছে! নাগরিক স্বার্থে যে সংবাদটি করা হয়েছিল, সেটির সত্যতা নিশ্চিতভাবে পৌর কর্তৃপক্ষ স্বীকার করে নিয়েছেন। তৃতীয় তলে দুটি কক্ষ এবার সাজিয়ে দেওয়া হয়েছে । তার মানে দ্বিতীয় তলে তেমন কোন সুষ্ঠু কক্ষ উপ পৌর প্রধান বা পৌর পার্ষদদের জন্য ছিল না। এটি অত্যন্ত সুখবর। পৌর কর্তৃপক্ষকে এই প্রতিবেদকের পক্ষ থেকে এবং অবতক-এর পক্ষ থেকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করা হচ্ছে যে,পৌর পরিষেবা যথাযথ চালু রাখার জন্য তারা এই সুব্যবস্থা গ্রহণ করেছেন।

পৌর কর্তৃপক্ষ প্রেসমিট ডেকে এটি আলোচনা করে যদি আমাদের পূর্ববর্তী সংবাদটিতে ভুল থাকতো তবে তিনি সেটি জানাতে পারতেন। কিন্তু তিনি তা না করে, ‘অন্য একটি মিডিয়া ভুল সম্প্রচার করছে পৌর পরিষেবাকে ব্যাহত করার জন্য!’ এমন বললেন।

এটা কি করে সম্ভব? জনস্বার্থে যে পরিষেবা চলছে তা কি বাধা দিতে পারে একটি মিডিয়া ? মিডিয়ার কাজই তো জনস্বার্থে চলা এবং জনস্বার্থে সমস্ত সংবাদ পরিবেশন করা।

তবে এটাও ঠিক যে, এতবছর উপ পৌর প্রধানের কক্ষ যেখানে ছিল, অর্থাৎ কাঁচরাপাড়া পৌরসভার প্রাক্তন উপ পৌর প্রধান মাখন সিনহা যেখানে বসতেন,সেই ঘরটি এখন আর নেই। বরং এখন উপ পৌর প্রধানের ঘর ত্রিতলে করা হয়েছে। তবে সেটি যদি পুরো কর্তৃপক্ষের তরফে জনস্বার্থে না জানানো হয় তবে মানুষ জানবেন কিভাবে!

আরো উল্লেখ্য যে, ত্রিতলে উপ পৌর প্রধানের জন্য যে নতুন কক্ষটি তৈরি করা হয়েছে সেটি এখনো পর্যন্ত উপ পৌর প্রধানকে হস্তান্তর করা হয়নি,এমনই জানিয়েছেন কাঁচরাপাড়া পৌরসভার নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক এক কাউন্সিলর।