দোকান ঘর দখল নিয়ে দাদা ও ভাইয়ের মধ্যে বচসা,আহত ৩ 

অবতক খবর,১ মেঃ জমির উপর দোকান ঘরের দখল নিয়ে দুই ভাইয়ের মধ্যে বিবাদের জের ,আক্রান্ত মহিলা সহ তিনজন হাসপাতালে ভর্তি রাজনৈতিক রং লাগল তৃণমূলের।

উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট মহকুমার হিঙ্গলগঞ্জের সাহেবখালি গ্রাম পঞ্চায়েতের সাহেব খালি এলাকার ঘটনা। রাস্তার ধারে দশ বাই বারো ফুটের জমির উপরে দোকান ঘর করে রয়েছে।সেখানে তিন বছর ধরে ব্যবসা করত বছর ৬০, এর দাদা রঞ্জন মন্ডল, আর সেখানে ব্যবসায়ী সহযোগিতা করত বছর ৫০এর, ছোট ভাই সাহেব মন্ডল।এই দোকান ঘর কে দখল নেবে? তাই নিয়ে তিন বছর ধরে ঝামেলা বচসা গন্ডগোল হয় একাধিকবার সালিশি সভা বসলো কোনো সমাধান সুত্র বেরোয়নি। আজ দুপুরবেলা সেই বিবাদ গন্ডগোল চড়মে ওঠে। দাদা রঞ্জন বহিরাগত দুষ্কৃতীদের এনে ছোট ভাই সাহেব মন্ডলকে, ভাই বউ গীতা মন্ডলকে বাঁশ লাঠি লোহা রড দিয়ে বেধারক মারধর করে এই রেহাই পায়নি তাদের কন্যা সন্তানও। তাদেরকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে হিঙ্গলগঞ্জ নয় নম্বর সান্ডেল বিল ব্লক হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এই ঘটনা জানাজানিতে ক্ষোভের আগুন ফেটে পড়ে সাহেব খালি অঞ্চলে। দুললি থেকে হেমনগর পর্যন্ত সাহেব খালি মরে রাস্তার উপরে বাঁশ প্লাকাড ফেস্টুন নিয়ে, পাশাপাশি রাস্তার উপরে টায়ার জ্বালিয়ে এদের গ্রেফতারের দাবিতে অবরোধ বিক্ষোভ চালান স্থানীয় গ্রামবাসীরা। ঘটনাস্থলে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ যায়, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আসে।

এই ঘটনায় রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে সাহেবখালি অঞ্চলে। স্থানীয় গ্রামবাসীদের দাবি সাহেব খালি গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান সুচিত্রা মন্ডল তিনি ঝামেলা মেটানোর নাম করে দীর্ঘদিন সমস্যা তৈরি রেখেছেন। পাশাপাশি দাদা ভাইয়ের গন্ডগোলে রাজনৈতিক রং লেগেছে যেহেতু দাদা ও ভাই দুইজনের তৃণমূলের কর্মী। দাদা রঞ্জনের এলাকায় তৃণমূলের প্রভাবশালী বলে পরিচিত। তাই বহিরাগতদের এনে এনে ছোট ভাই স্ত্রী সহ পরিবারকে বেধড়ক মারধর করেছে।

এই ঘটনায় দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে গর্জে উঠেছে সাহেবখালি গ্রামের মানুষ। দাদা রঞ্জন মন্ডল স্ত্রীসহ সবাই পলাতক। তদন্ত শুরু করেছে হিঙ্গলগঞ্জ থানার পুলিশ।