দুর্গা চলে গেল। কিন্তু কী বলে গেল? দুর্গতিনাশের বা দুর্গ গড়ার কথা বললো কি?

দুর্গা বিষয়ক
তমাল সাহা

১)বিসর্জন

সে চলে গেল—
তাকে সবচেয়ে বেশি জানে
দিনান্তের আকাশ।
বিষাদ স্পর্শসুখ পেয়েছে আজ
নীলিমার মুখে।

রাজনন্দিনীর বেশেই সে গেছে।
তখনও সন্দেশের গুঁড়ো লেগেছিলো
ঠোঁটের কিনারে।
এয়োতিদের সিঁদুর-কৌটোয়
কত সিঁদুর ধরে!

বড় তাড়াতাড়ি আঁধার নেমেছে আজ।
ঠাকুরদালানের সাজ—
পুরোনো লাগছে খুব।
চণ্ডিমন্ডপের বুক ভেঙে উঠে আসে
শূন‍্যতার বাতাস।
সব রঙ এত দ্রুত বিবর্ণ হয়ে যায়!

সে ছিল এইখানে।

এখন বেদীর ওপর একটি পিলসুজ
তার উপর একটি পিদিম—
বড় একা জ্বলছে।

কার জন্য সে নিজেকে পোড়ায়?

২)বিজয়া

ভাসান ঘাট থেকে ফিরে এসে
মিষ্টি মুখ করা যায়?

মায়ের বিসর্জন হয় না,
জল পাড়ি দিয়ে
মা চলে যায় অন্য পাড়ায়।
সেখানে মানুষেরা
কেমন আছে দেখবে বলে।

মা তো অন্নপূর্ণা!
রেখে যায় মিষ্টির হাঁড়ি,
বিলিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দিয়ে যায়
আমাদের ওপর।

আর আমরা?
বেছে বেছে স্বজন পোষণ!
গরিবেরা পায় না সেই মিষ্টির ভাগ।

আমরা বুঝিই না—
মায়ের বিসর্জন হয় না,
এতো বিজয়া।