দু বছর আগে একটি শীতের রাতের কবিতা— হে প্রিয়তমা নারী আমার!!

দুজন পুলিশ, একটি মেয়ে
তমাল সাহা

বিধাননগর!করুণাময়ী বাস স্ট্যান্ড—
নামলো মেয়েটি,
সেই সুদূর আসানসোল থেকে এসেছে।
তখন গভীর রাত, শুক্রবার।
চাকরির পরীক্ষা দেবে,
তাই তার কলকাতায় আসা।
তথ্যপ্রযুক্তি সংস্থার এক পরীক্ষা।
সে তো আর জানে না
চাকরির পরীক্ষার আগে আছে এক প্রি-টেস্ট
তাও গভীর রাতে!
পরীক্ষাটির বিষয়ঃ কলিকাতা ও যৌন নিগ্রহ।

তখন শীতের বাতাস বইছে।
পথিমধ্যে যান্ত্রিক গোলযোগে পড়েছিল বাস।
ফলত করুণাময়ী স্ট্যান্ডে পৌঁছতে
বাসটির দেরি হয়ে যায়।

মেয়েটি মনে মনে বলে,
হায় মা করুণাময়ী! কি করি উপায়।
মেয়েটি নিরুপায় অসহায়।
এ দুঃসময়ে কে তার পাশে এসে দাঁড়ায়!

মেয়ে রে তোর সৌভাগ্য হোক!
সাহায্য চাইতেই বাইকে তুলে নিল
টহলদারি নিরাপত্তা বাহিনীর দুই পুলিশের লোক।

মেয়ে তো বাইকে ঘোরে
রিভলবার রাখা আছে নিরাপত্তার কোমরে।
গন্ধে স্পর্শে
পুলিশের শরীরে উষ্ণতা বাড়ে
আহা! নিরাপত্তা কামার্ত জ্বরে।

কোথায় শীত!
এতো অগ্নিস্রাবী তুষারপাত!
নারীদেহে লেখা হতে থাকে যৌন ধারাপাত।

শীত আমায় বলে,
এতো রাতে কি লিখিস তুই, কবিতা?
তুইও কি ধৃতরাষ্ট্রের মতো জন্মান্ধ?
এ নিয়ে কবিতা লেখা যায় নাকি!
এ হতে পারে নিষ্ঠুর গদ্য বা পৈশাচিক প্রবন্ধ–
নয়া ভারতীয় গীতা।

ঘটনা ১৩ ডিসেম্বর,’২০২১, বিধাননগর, কলকাতা।
ছবিঃ অভিযুক্ত দুই নিরাপত্তা রক্ষক পুলিশ।