অবতক খবর ,অভিষেক দাস, মালদা:- স্বপ্নাদেশ পেয়ে পূজোর প্রচলন শুরু হয়। আজ থেকে প্রায় দুইশো বছর আগে। তৎকালীন এলাকার জমিদার গোলক নাথ মিশ্র এই পূজো শুরু করেন। আজও মিশ্র পরিবারের পূজো বলেই পরিচিত এটি। মালদার চাচোল মহাকুমার ডুমরো গ্রামে পুরোনো প্রথা মেনেই মিশ্র পরিবারের জমিদার বাড়িতেই পূজিত হয় দেবী দূর্গা। আজ জমিদারি নেই। নেই কোন চমক। নেই বাহারি রঙের আলোকসজ্জা। তবুও এই পূজোকে ঘিরে মিশ্র পরিবারের পাশাপাশি চাচোল -২নং ব্লকের গৌড়হন্ঠ গ্রাম পঞ্চায়েতের সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা মেতে ওঠে। কথিত আছে প্রায় দুইশো বছর আগে তৎকালীন জমিদার গোলক নাথ মিশ্র পুজোর আয়োজন করার সময় দেবী দূর্গার কাঠামো পান। আজও সেই কাঠামোতেই দেবীর আরাধনা হয়। প্রচীনকালের প্রথাতে সাতটি পাঠাবলির উল্লেখ রয়েছে।

আজও তা অক্ষরে অক্ষরে পালিত হয়। প্রচীন প্রথাতে রয়েছে সপ্তমী পুজোর দিন একটি পাঠাবলি হবে। অষ্ঠমীতে দুইটি। তা আবার এক মিনিট ব্যবধানেই করতে হবে এবং নবমীতে চারটি পাঠাবলীর রেওয়াজ রয়েছে। যা আজও হয়।শুধু তাই নয় দেবীর বিসর্জনেও রয়েছে বেশ কিছু নিয়ম। মিশ্র পরিবারের পুকুর যার নামকরণ তৎকালীন জমিদার গোলক নাথ মিশ্রের পুত্রবধূ কুসুম কামিনী নামে রয়েছে সেইখানে বিসর্জন করার প্রথা আজও অব্যহত।

দেবীকে যারা বিসর্জন করেন তাদেরকেও হলুদ,তেল ও সিঁদুর মাখতে হয়। নবমীর রাতে পুরোনো প্রথা মেনে আয়োজন করা হয় নরনারায়ণ সেবার। গৌড়হন্ড গ্রাম পঞ্চায়েতের কৃষ্ণনগর,ডুমরো,ফুলবাড়ি ,আলাদিপুর,গৌড়হন্ড সহ সাতটি গ্রামের বাসিন্দারা এই পূজোকে ঘিরে মেতে ওঠেন। দশমীর দিন দেবী বিদায়ের দুঃখ ভুলতে মেলাও বসে আজও সেই প্রাচীনকাল থেকেই।