এসবই ধূসর স্মৃতি!
কবেকার সেই ফেলে আসা আলো ছায়া ছোটবেলায়,
তখনো সেভাবে রাজনীতি শিখিনি, নামিনি রাস্তায়!

দীপ জ্বেলে যাই
তমাল সাহা

সেই দীর্ঘকায় আরণ্যক পরিবেশ
মোটরবাইক– এই পথ যদি না শেষ হয়!
শেষ পর্যন্ত শেষ হয়ে যায়
তোমার পেলব অবয়ব স্নিগ্ধ মুখ টানা ভুরু
লেগে থাকে আমাদের চোখের তারায়।

সেইসব নুকিয়ে চুরিয়ে প্রেম
আলগোছে দেখা মা-বাবার অগোচরে
সেই নস্টালজিকতা সেই মুহূর্ত সেই সব চলচ্চিত্র আর পাবো কি ফিরে?

তুমি আর সৌমিত্র—
পাঞ্জাবিটা টেনে বুক থেকে কি দারুণ ছিঁড়ে দিয়েছিলে সাত পাকে বাঁধায়!
সপ্তপদীর কথা মনে আছে রিনা ব্রাউন!
তুমি ডেসডিমোনা!
ওথেলো তোমাকে হত্যা করে নিজে আত্মঘাতী,
অব্যক্ত ভালোবাসার পতাকা ওড়ায়।
তুমি গররাজি, তুমি হবেনা দেবী চৌধুরাণী
হতাশ হয়ে পড়েছিলেন সত্যজিৎ রায়!

ওরা থাকে ওধারে তাতে কি? উত্তর ফাল্গুনীতে যৌনকর্মী কি দারুণ অভিনয়!
হারানো সুর সাঁঝের প্রদীপ জ্বালিয়ে
তোমাকে কত অগ্নি পরীক্ষা দিতে হয়!

দেবদাসে পারুর শাপমোচন হয়েছিল বুঝি!
সবার উপরে শিল্পী তুমি
মনে পড়ে একটি রাত গৃহদাহ কমললতা জীবন তৃষ্ণায় ডাক্তার রমা
গৃহ প্রবেশ মরণের পরে ত্রিযামা—
এমন সহজ স্বাভাবিক অভিনেত্রী আজও খুঁজি।

উপরে লেখা থাকবে সাড়ে চুয়াত্তর কেউ খুলবে না সেই চিঠি
ম্যাটনি ইভিনিং নাইট শো হাউসফুল
কত সব সিনেমা প্রেম খুনসুটি
সবাই বলতো উত্তম-সুচিত্রা, আমি বলতাম সুচিত্রা-উত্তম জুটি!

পথে হলো দেরি আলো আমার আলো স্মৃতিটুকু থাক পড়ে রইল সব চাওয়া পাওয়া
আঁধিতে কালো মেঘ—
অন্তরালে চলে গেলে
শ্রাবণ সন্ধ্যায় কোন প্রণয় পাশা খেললে তুমি
হৃদয়ে উঠল তুফান চলে যাবার হাওয়া!

তোমাকে দেখে আমরা মেয়েদের ভালবাসতে শিখেছি, শিখেছি নিষিদ্ধ প্রেম গোপনে।
বুঝেছি এমন ভালোবাসা কতটা প্রয়োজন এই বন্ধুর জীবনে!