দিল্লি হিংসার বলি ২৪, নিয়ন্ত্রণ হাতে নিল CRPF, দাঙ্গাকারীদের দেখামাত্র গুলির নির্দেশ, আলোচনায় আমেরিকান সাংসদরা

বিনয় ভরদ্বাজ , অবতক খবর,২৬শে ফেব্রুয়ারী :: দিল্লিতে সি এ এ প্রত্যাহারের আন্দোলন এখন হিংসাত্মক হয়ে উঠেছে । দিল্লি হিংসার আজ চতুর্থ দিন এই হিংসায় চারদিনে ইতিমধ্যে ২৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও বেশি এমন অবস্থায় দিল্লির নিয়ন্ত্রণ পুলিশের হাত থেকে সরিয়ে সিআরপিএফের প্যারামিলিটারি হাতে দিয়ে দেওয়া হয়েছে।দাঙ্গা প্রভাবিত এলাকায় দাঙ্গাকারীদের দেখতেই গুলি করার নির্দেশ জারি করা হয়েছে।

দেশের নিরাপত্তা প্রধান পরামর্শদাতা অজিত দোভাল প্রভাবিত এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী অমিত শাহ কে বিস্তৃত খবর জানিয়েছেন। আর আতঙ্কিত দিল্লিবাসীকে নিরাপত্তার আশ্বাস দেন।

অবস্থা খারাপ দেখে দিল্লি হিংসা প্রভাবিত এলাকা গুলোতে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা আপাতত স্থগিত রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। মূলত উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে পরীক্ষা বাতিল করা হয়েছে।

দেশের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ নিজে দিল্লিতে সর্বদলীয় বৈঠকের ডাক দিয়েছেন। তিনি সকলকে শান্তি বজায় রাখার আবেদন করেছেন।

দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল দিল্লির হিংসা নিয়ন্ত্রণ করতে হিংসাত্মক প্রভাবিত এলাকায় কারফিউ জারি করতে ও উপদ্রুত এলাকায় সেনা নামানোর আহ্বান জানিয়েছেন। এছাড়া তিনি সমগ্র দেশবাসীর কাছে শান্তি বজায় রাখতে বার্তা জারি করেছেন।

দিল্লি হিংসা নিয়ে আমেরিকার সাংসদরা ও সরব হয়েছেন। তারা জানিয়েছেন যে ভারত পৃথিবীর বৃহত্তম গণতান্ত্রিক ও ধর্মনিরপেক্ষ দেশ। তাই এমন কোন আইনকে প্রশ্রয় দেওয়া উচিত নয় যে দেশ ধার্মিক স্বাধীনতাকে খর্ব করে বা কমজোরি করে।

আমেরিকান সংসদ এলেন লোরেনথাল চিন্তা জাহির করে বলেছেন যে ভারতের রাজনৈতিক নেতৃত্বের এটি অসফলতা। তিনি বলেছেন যে ভারতে মানবাধিকার সংকটে রয়েছে তা নিয়ে বলা উচিত।

আমেরিকান ডেমোক্রেট পার্টির রাষ্ট্রপতি পদের দাবিদার ও সাংসদ এলিজাবেথ ওয়ারেন বলেন যে ভারত ধর্মনিরপেক্ষ ও লোকতান্ত্রিক দেশের সঙ্গে বন্ধুত্ব গুরুত্বপূর্ণ কিন্তু আমাদের বাস্তব কথা বলা উচিত। যেখানে ধার্মিক স্বাধীনতা ও ব্যক্তি স্বাধীনতা থাকা অত্যন্ত জরুরী। তিনি বলেন, শান্তিপূর্ণ আন্দোলন কারীদের বিরুদ্ধে হিংসা কখনোই মেনে নেওয়া যেতে পারে না।