অবতক খবর নিউজ ব্যুরো :: ১৮ই,নভেম্বর ::নয়াদিল্লি : পশ্চিমবঙ্গের বিজেপি সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেছেন, ভারতের নাগরিকত্ব সংশোধনী বিলই হবে এ দেশে আসা উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের রক্ষাকবচ। সব শরণার্থীর ভারতের নাগরিকত্ব নিশ্চিত করা হবে। তাঁদের বঞ্চিত করা হবে না। শুধু আবেদন করলেই মিলবে ভারতের নাগরিকত্ব। এ নিয়ে কোনো চিন্তার কারণ নেই। শান্তনু ঠাকুর বলেন, যাঁরা দেশভাগ না মেনে ভারতে থেকে গেছেন, তাঁরাও পাবেন ভারতের নাগরিকত্ব।

রোববার নয়াদিল্লির যন্তরমন্তরে মতুয়া সম্প্রদায়ের উদ্যোগে আয়োজিত মতুয়াদের এক বিশাল সমাবেশে ভারতের মতুয়া মহাসংঘের সংঘাধিপতি সাংসদ শান্তুনু ঠাকুর এ কথা বলেন। সমাবেশে কয়েক হাজার মতুয়া ডঙ্কা বাজিয়ে লাল নিশান উড়িয়ে যোগ দেন।

সমাবেশে বক্তব্য দেন মতুয়া মহাসংঘের প্রাক্তন সংঘাতিপতি ও পশ্চিমবঙ্গ সরকারের প্রাক্তন মন্ত্রী মন্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর, সংঘের কেন্দ্রীয় সম্পাদক সুখেন গাইন, সহ সম্পাদক মহীতোষ বৈদ্য, ছাত্র-যুব সভাপতি তন্ময় বিশ্বাস, দিল্লির রাজ্য কমিটির সভাপতি সজল গোঁসাই, সর্বভারতীয় গোঁসাই পরিষদের সম্পাদক বিপদভঞ্জন গোঁসাই এবং আইনজীবী অম্বিকা রায়, তাপস রায় প্রমুখ।

প্রাক্তন মন্ত্রী মন্জুল কৃষ্ণ ঠাকুর বলেন, ‘আমার বিশ্বাস মোদি সরকার উদ্বাস্তু এবং শরণার্থীদের সমস্যা সমাধান করতে পারবে। মাত্র দুই নেতার জন্য দেশ ভাগ হয়েছিল। একজন নেহরু ও অন্যজন জিন্নাহ। আজ যদি দেশ ভাগ না হতো, তবে নাগরিকত্বের প্রশ্ন উঠত না।’

সাংসদ শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘দীর্ঘ ৬৫ বছরেও কোনো সরকার আমাদের নাগরিকত্ব না দিয়ে ভোটার কার্ড, আধার কার্ড, পাসপোর্ট দিয়েছে ভোট ব্যাংক হিসেবে ব্যবহার করার জন্য। কংগ্রেস সরকার সেদিন মানবিক হলে এই সমস্যা হতো না। এবার মোদি এসেছেন আমাদের দীর্ঘদিনের দাবির সমাধান করতে।’

শান্তনু ঠাকুর বলেন, ‘আমাদের জাগরণের সময় এসেছে মোদিজির হাত ধরে। তিনি আমাদের মূল্যায়ন করেছেন। আমরা প্রকৃত নাগরিকেরা এনআরসি চাই। কোনো রকম প্রমাণ ছাড়াই হিন্দুরা নাগরিকত্ব পাবেন। এ জন্য তাঁদের আতঙ্কিত হওয়ার কারণ নেই। ভয় পাবেন না। যাঁদের কোনো প্রমাণপত্র নেই, তাঁরাও নাগরিকত্ব পাবেন। শুধু একটি ফরমে জানাতে হবে তাঁরা কবে এসেছেন। নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার পর সঙ্গে সঙ্গে উদ্বাস্তু এবং শরণার্থীরা নাগরিক হওয়ার সুযোগ পেয়ে যাবেন। এই বিলই উদ্বাস্তু ও শরণার্থীদের জন্য হবে এনআরসির রক্ষাকবচ।’