দিদির চক্ষু চড়কগাছ, ৫০ শতাংশ কাউন্সিলর দুর্নীতিগ্রস্ত, তুলে নিয়েছে সব মাছঃ পিকে

অবতক খবর,৩১শে জানুয়ারি: লুটেপুটে খাও দেশ, লুটেপুটে খাওয়া রাজ্য। যেখানে সেখানে ভেঙে দাও আইন-শৃঙ্খলা, তৈরি করো নৈরাজ্য। এমন একটা অবস্থায় এই রাষ্ট্র চলছে। যে যেখান থেকে পারে দুর্নীতিগ্রস্ত হয়ে কামিয়ে নিচ্ছে। ‘

দিদিকে বলো’ যে কর্মসূচি তাতে দলের নেতৃত্বরা বিভিন্ন পৌর অঞ্চল, পঞ্চায়েত অঞ্চল থেকে রিপোর্ট পাঠিয়েছে। ‘দিদিকে বলো’ কর্মসূচির মূল উদ্দেশ্য ছিল সাধারণ জনগণের মধ্যে এই কর্মসূচিকে নিয়ে যাওয়া এবং তাদের অভাব অভিযোগ শোনা। যদিও এই কর্মসূচিটি ছিল সেই বিখ্যাত, সুপরিচিত ভোট পরিচালক পিকে অর্থাৎ প্রশান্ত কিশোরের মস্তিষ্কপ্রসূত।

এরই পরিপ্রেক্ষিতে গোপনে প্রশান্ত কিশোর একটি সার্ভে টিম তৈরি করেছিলেন। তার গোপন রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে যে, ৫০ শতাংশ কাউন্সিলরই দুর্নীতিগ্রস্ত অর্থাৎ ‘দিদিকে বলো’ রিপোর্টে আঞ্চলিক নেতারা যা পাঠিয়েছেন তার সঙ্গে প্রশান্ত কিশোরের রিপোর্টের আকাশ-পাতাল তফাৎ। সূত্রের খবর, এই রিপোর্ট দেখে দিদির চক্ষু চড়কগাছ।

তবে চক্ষু চড়কগাছ হওয়ার কোন কারণ নেই।এই কারণে যে দিদি হামেশাই বলেন তিনি সব জানেন, সব নজর রাখছেন। কাটমানির প্রসঙ্গ তিনি তুলেছিলেন, বালি খাদানের প্রশ্ন তিনি তুলেছিলেন, পিডব্লুডি-র জায়গা বেচে কামাইয়ের প্রসঙ্গ তিনি তুলেছিলেন। তিনি শুধু বলেছিলেনই, কিন্তু কোনটারই তিনি সুরাহা করতে পারেননি।

সামনেই পৌর নির্বাচন, ফলত এই রিপোর্ট পেয়ে দিদি নড়েচড়ে বসেছেন বলে খবর। এবার পৌর নির্বাচন খুব সহজসাধ্য নয় বলে রাজনৈতিক মহল মনে করছে। কারণ বিরোধী শক্তি হিসেবে গেরুয়া শিবির রাজনৈতিক দলেরা স্বীকার করুক আর না করুক, দাপট দেখাচ্ছে। সংসদীয় গণতন্ত্রে, রাষ্ট্র ক্ষমতা যাদের হাতে তাদেরই জোর বেশি। ফলত রাজনৈতিক মহলে এখনই কাঁপন শুরু হয়ে গিয়েছে।

অন্যদিকে এনআরসি, এনপিআর,সিএএ-এর বিষয়টি যে পরিস্থিতিতে আছে তাতে মানুষ আতঙ্কগ্রস্ত, ভীতসন্ত্রস্ত। তারা দেশে থাকতে পারবেন কিনা এই নিয়ে তাদের মধ্যে দ্বিধাদ্বন্দ্ব ইতিমধ্যেই শুরু হয়ে গিয়েছে। রাজ্য সরকার এটাকে কীভাবে রুখবেন সেটা তারা দেখতে চাইছেন। ফলত পৌর নির্বাচনে এই নাগরিকতার প্রশ্ন এবং এই দুর্নীতিগ্রস্ত কাউন্সিলররা তৃণমূল সুপ্রিমোর মাথাব্যথার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে বলে খবর।

কিন্তু পৌর নির্বাচনে কাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে? হিসেব করলে দেখা যাবে যে, কম্বল বাছতে গেলে সব পশমই উঠে যাচ্ছে। অর্থাৎ ঠগ বাছতে গাঁ উজাড় হয়ে যাচ্ছে। পশ্চিমবঙ্গবাসী বুঝে গিয়েছে এখানকার কাউন্সিলরদের চরিত্র। বিশেষ করে কাঁচরাপাড়ার কাউন্সিলরদের চরিত্র নিয়ে তারি ওয়াকিবহাল। আর এদের যে আসলে কোন রাজনৈতিক চরিত্র নেই তাও জনসাধারণ বুঝে গেছে। কখন কে বিজেপি, কে কখন তৃণমূল, কে কখন এক ফুল কে কখন দুফুল দ্বিধাদ্বন্দ্বের মধ্যে ফেলে দিয়েছে জনগণকে।