দিঘায় ‘বিষাক্ত’ কাঁকড়া বিক্রি? খাদ্য দফতরের অভিযানে সামনে এল ‘বিপজ্জনক’ তথ্য

অবতক খবর,৩০ ডিসেম্বর: দিঘায় কাঁকড়া খেয়ে ২ মাসে ২ জনের মৃত্যু! আর তারপরই এদিন কাঁকড়া খেয়ে বার বার পর্যটক মৃত্যুর ঘটনায় তদন্তে নামল প্রশাসন। রাজ্য ফুড সেফটি দফতরের নির্দেশে যৌথ অভিযান চালাল জেলা ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্ট ও স্বাস্থ্য দফতর।

প্রসঙ্গত, গত কয়েকদিন আগে দিঘায় কাঁকড়া খেয়ে বীরভূমের রামপুরহাটের এক কিশোরীর মৃত্যু হয়। তার আগে নভেম্বর মাসেও দিঘায় ঘুরতে এসে কাঁকড়া খেয়ে মৃত্যু হয় বেহালার এক যুবকের। এরপরই আজ দিঘার বিভিন্ন এলাকায় রেস্তরাঁ ও হোটেলগুলিতে দিঘা থানার পুলিসকে সঙ্গে নিয়ে তল্লাশি চালান খাদ্য দফতরের আধিকারিকরা।

বিভিন্ন রেস্তরাঁ ও হোটেল থেকে পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য কাঁকড়া সংগ্রহ করা হয়। বেশ কয়েকটি প্রজাতির কাঁকড়া সংগ্রহ করে তদন্তকারী দলটি। শুধু-ই কি অ্যালার্জিগত সমস্যা নাকি বিষাক্ত কাঁকড়া-ই ডেকে আনছে বিপদ? খতিয়ে দেখবেন তদন্তকারীরা। শুধু কাঁকড়াতেই যে বিপদ এমনটা নয়! বেশ কয়েকটি রেস্তরাঁকে এদিন নিয়মবহির্ভূতভাবে খাদ্য রাখার কারণেও সতর্ক করা হয়।

সমুদ্র সৈকতের পাশেই ‘গজিয়ে ওঠা’ বেশ কয়েকটি মাছের খাবারের দোকানেও হানা দেয় তদন্তকারী দলটি। অভিযোগ, বেশ কিছু হোটেল ও রেস্তরাঁ মালিক ফুড লাইসেন্স না নিয়েই দিঘায় ব্যবসা করছেন। তাঁদেরকেও অ্যালার্ট করা হয়। এবার থেকে ফুড লাইসেন্স সংগ্রহ করেই তারপর ব্যবসা করতে হবে, অন্যথায় রেস্তরাঁ বন্ধ করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দেন তদন্তকারীরা।

প্রসঙ্গত, দিঘায় বছরভর বহু পর্যটকের আনাগোনা হয়। পর্যটকরা যাতে রেস্তরাঁ বা হোটেলের খাবার খেয়ে সমস্যায় না পড়েন, তা নিশ্চিত করতে এবার থেকে সেদিকে কড়া নজরদারি চালাবে রাজ্য ফুড সেফটি ডিপার্টমেন্ট। এমনটাই জানিয়েছেন ফুড সেফটি অফিসার সাকির হোসেন, জেলা ফুড ইন্সপেক্টর রনিতা সরকার।