মানুষ অসহায় নিরুপায়। দোকানপাট জ্বলছে বাড়িঘর জ্বলছে। বোমা বিস্ফোরণের আওয়াজে বাতাস কেঁপে ওঠে। তরবারি অস্ত্র হাতে হাঁটাচলা করে কারা? মানুষ শঙ্কিত ভীত।

দাঙ্গা
তমাল সাহা

দিনভর হত্যালীলা চলার পর রাত্রি ঘন হলে লোকটি বেরিয়ে পড়ে। একটি টর্চ শুধু তার হাতে। লোকটি একের পর এক বধ্যভূমির দিকে হাঁটে।
প্রথমেই সে দেখে, পড়ে আছে একটি দেহ।
টর্চ জ্বালতেই ভেসে ওঠে নারী মুখ।এ তো সেই ফুলমাসি! ফুটপাতে সকালে ফুল বেচছিল।
সে দেখে জলের ট্যাংকের ওই কোণে একটি খোলা বাক্স, যন্ত্রপাতি ছড়ানো। উপুড় হয়ে পড়ে আছে আরেকটি মানুষ।
মুখটি সোজা করতেই দেখা গেল তালাচাবি সারাইওয়ালা কার্তিকদার মুখ।
পর পর সে দেখতে পায় রিক্সাচালক রামাবতারের নিথর দেহ, স্টেশনে পড়ে থাকা রহমত কুলির রক্তাক্ত শরীর।
রিলায়েন্স জুটমিলের গেটে পড়ে আছে রতনলাল কামগারের লাশ।

সে একটির পর একটি দেহ খুঁজে ফেরে।
এতো মৃত্যুস্তূপ; খুঁজে পায় না কোন নেতার দেহ।

ধর্মযুদ্ধ(!) এতই নিপুণ
কোনোকালে কোনোদিন কোনো নেতা হয় নাকো খুন!