দাঙ্গা শব্দটি সবাই জেনে গেল। শিশুরাও বুঝে গেল দাঙ্গা মানে খুন আগুন লাশ…

দাঙ্গা
তমাল সাহা

এক)

দাঙ্গা কতদূর যায়?
তুমি তাকে নিয়ে যাবে যতদূর।
খুন কতদূর গড়ায়?
গড়িয়ে গড়িয়ে যায়
যে পর্যন্ত না বানাতে পারে সমুদ্দুর।
আগুন কতদূর যায়?
বাতাস তাকে যতক্ষণ ভালোবাসে প্রচুর।

দুই)

দাঙ্গা থেকে কি কি শেখা যায়?
দাঙ্গা থেকে অস্ত্র ও আগুনের
ব্যবহার শেখা যায়।
দাঙ্গার শুরু কোত্থেকে?
তার মাথা কোথা থেকে জানা যায়,
দেখা যায় না শুধু তার লেজ।

দাঙ্গা থেকে জানা যায় কত গাঁয়ের নাম—
সিলমপুর,গোকুলপুরী,মৌজপুরা,
চাঁদবাগ,নগর শাভেজ।
বুকে হাত দিয়ে বলো কোনোদিনও
এসব গাঁয়ের নাম জানতে তুমি?
বেড়েছে কিনা তোমার জেনারেল নলেজ!

তিন)

আখ মাড়াই মেশিন পড়ে আছে।
আহমেদের লেগেছে দু’দুটো বুলেট।
রক্ত চাই ! রক্ত চাই!
ও নেগেটিভ গ্ৰুপের রক্ত চাই,
গোপাল কেঁদে যায় কাতরে মাথা করে হেঁট।

চার)

অটোচালক অনিলের মাথা ফেটেছে।
পড়েছে বাইশটি সেলাই।
কোথায় বিভেদ?
স্যালাইনের বোতল ধরে ঠায় বসে আছে
বুড়ো সবজিওয়ালা আবেদ।

বলে যায়,আমি আছি রে!
ভয় নাই, বাবুয়া তুহার ভয় নাই।