অবতক খবর,২২ ডিসেম্বর: দল বদলু আর কোন জায়গা নেই রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটিতে। 2021 বিধানসভা নির্বাচনে কোমর বেঁধে নির্বাচনে ঝাঁপিয়ে ছিলেন বঙ্গ বিজেপি। তাতে কোনো লাভ হয়নি বাংলার তৃণমূলকে পরাজিত না করতে পারলেও বিধানসভা নিরিখে আসুন অনেকটাই নিজেদের ঘরে সংযুক্ত করে নিয়েছে বঙ্গ বিজেপি।

তারপর বেশ কয়েক মাস কেটে গিয়েছে, তাই এই সময়ের মধ্যে রাজ্য বিজেপি ও জেলা স্তরে কিছু জায়গায় সংগঠন ভালোই নড়েচড়ে হয়ে গিয়েছে বলে দাবিমনে করছেন রাজনৈতিক মহলে,। আর তার জেরেই পৌরসভার পৌর ভোটের শতাংশ কমেছে বলে মনে করছে বঙ্গ বিজেপি। তাই এবার বঙ্গ বিজেপির শীর্ষ স্তরে বেশকিছু রদবদল আসতে চলেছে। তাই বৃহস্পতিবার সেই সব কথাবার্তা নিয়ে আলোচনা এবং বৈঠক বসতে চলেছে দিল্লিতে। আজ বুধবার দিল্লিতে যাচ্ছেন রাজ্য বিজেপির নবনির্বাচিত সভাপতি সুকান্ত মজুমদার, বেস্পতিবার বৈঠক হওয়ার কথা।

বেস্পতিবার বৈঠক হবে বিএল সন্তোষ এবং রাজ্যের প্রাক্তন সভাপতি দিলীপ ঘোষ , জানা গিয়েছে এই আলোচনায় স্থির হবেই রাজ্য বিজেপির নতুন কমিটিতে কারা কারা আসতে চলেছে। বিজেপি সূত্রে খবর, আগে দলবদল করে আসা যেসব সদস্যদের দলে জায়গা দেয়া হয়েছিল, এবার আর তা হবেনা। তাতে যত বড়ই নেতা হোক না কেন, কাউকে আর রাখা হবে না। বিধানসভা নির্বাচনের পর বড়োসড়ো শিক্ষা পেয়েছে বিজেপি।

মুকুল রায় রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় মতো নেতাদের শিবির ছেড়ে দেওয়ার ঘটনা ভাবাচ্ছে বিজেপিকে , তাই যারা দীর্ঘদিন সংঘ বিজেপি সাথে যুক্ত তাদেরকেই রাখা হবে নতুন কমিটিতে, প্রয়োজন হলে জেলা স্তর থেকেও নতুন মূখ আসতে পারে রাজ্য কমিটিতে পাশাপাশি নতুনভাবে মহিলাদের সম্মান ও জায়গা দেয়া হবে বলে জানা গিয়েছে অন্তত পক্ষে নতুন রাজ্য কমিটিতে সাত থেকে আটজন মহিলা নেত্রীর নতুন মুখ রাজ্য কমিটিতে আসতে চলেছে। গত কুড়ি সেপ্টেম্বর রাজ্য সভাপতি হয়েছেন সুকান্ত মজুমদার , তারপর তিন মাস পার হয়েছে , তাই এখনও আনুষ্ঠানিকভাবে নতুন রাজ্য কমিটিতে কেকে স্থান পাচ্ছেন তা নিয়ে কোনো ঘোষণা হয়নি।

তাই এই ভাবেই কলকাতা পৌরসভার নির্বাচন কেটে গিয়েছে। তবে বাকি পৌরসভা ভোট এখনো বাকি রয়েছে আর আগে নতুনভাবে রাজ্য কমিটি ঘোষণা না করতে পারলেই অনেকটা সংঘবদ্ধভাবে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া অনেক কষ্ট হবে বলেই মনে করছেন বিজেপির একাংশ। তাই বৈঠক , তাই দিল্লিতে রাজ্য নেতৃত্ব সাথে বৈঠকে বসবেন বিএল সন্তোষ,। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের মতে, বাংলা বিজেপির মুখ বলতে মনে করা হচ্ছে দুজন কে সুকান্ত মজুমদার ও বিরোধীদলের নেতা শুভেন্দু অধিকারী। এখনো অব্দি তাদের বিরোধী দলের অন্দরে কোনো ক্ষোভ নেই।

শুভেন্দু অধিকারী কে নিয়ে দুই এক জায়গায় বিরোধিতা থাকলেও, সুকান্ত মজুমদার এখনো সকলের কাছে সমানভাবে গ্রহণযোগ্যতা পারছেন,। ভোটের আগে অনেকে তৃণমূল ছেড়ে বিজেপিতে এসেছেন, আবার ভোট শেষ হতে দেখা গিয়েছে অনেকের ঘর ওয়াপসিপ হয়েছে , এরমধ্যে রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় ও মুকুলের মতো নেতারাও রয়েছেন, তাই এইবার সব কথা মাথায় রেখে নতুন কমিটি তৈরি ক্ষেত্রে সব দিকে নজর ও সতর্ক থাকবেন বিজেপি। সবদিক দেখেই নতুন কমিটি হবে, বিজেপির রাজ্য কমিটির নতুনভাবে আলাদাভাবে নতুন চ্যালেঞ্জ হয়ে উঠলো।