অবতক খবর,৪ ফেব্রুয়ারি: পিকে! পিকে! পিকে! দেশজুড়ে পিকে। সেই পিকে এখন হয়ে গেল ফিকে। বিহারে তার নিজের দল জেডিইউ থেকে তাকে বহিষ্কার করে দিয়েছে দলীয় নেতৃত্ব।

একদা বিজেপির মাস্টারমাইন্ড ছিল সে। সে অনেক বড় সেফোলজিস্ট হিসেবে প্রচার পেয়ে গিয়েছিল। সে জেডিইউ দলকেও নিয়ন্ত্রণ করছিল। তার এত মেধা, এত ভোট পরিচালনার শক্তি,তাকে তার নিজের দলই ছেঁটে ফেলে দিল।

পিকে এখন নিজের দল থেকে তো বিতাড়িত,সে এখন পশ্চিমবঙ্গে তৈরি করছে অর্থাৎ ইট গেঁথে গেঁথে তুলছে তৃণমূল দলকে। এখন দল চালনায় রাজনৈতিক নেতাদের আর দরকার নেই। নেতাজি, জহরলাল,প্যাটেল,জিন্না, মহাত্মা গান্ধীদের দরকার নেই। এখন একজন সেফোলজিস্ট হলেই দল চালনা করা যায়। ‌এইসব দক্ষিণপন্থী দলেরা দলের মধ্য থেকে রাজনৈতিক শব্দটিই উঠিয়ে দিলেই পারে। কারণ দল এখন চলে বড় বড় এক্সিকিউটিভ রেখে। এই দেশে আমলাতন্ত্ররা যেমন মন্ত্রিসভা চালায়, বেশিরভাগ মন্ত্রীদেরই যোগ্যতা নেই, যোগ্যতা তো দূরের কথা তারা দাগি, দুর্নীতিগ্রস্ত,কামাইবাজ এরাই তো দেশ চালাচ্ছে। যে যেখান থেকে পারছে দেশকে বেঁচে দিচ্ছে। তাদের হাতে ক্ষমতার নিয়ন্ত্রণ রাখার জন্য তৈরি হয়েছে এই পিকে-রা।

পিকে কি সত্যিই তৃণমূল দলকে বাঁচাতে পারবে? পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের এখন যা অবস্থা তাতে কি সম্ভব? জলঙ্গিতে গুলি চলেছে— এনআরসি, এনপিআর ও সিএএ-এর বিরুদ্ধে গুলি গিয়েছে প্রতিবাদীদের দিকে। অভিযুক্ত হয়ে পড়েছে তৃণমূল দল। তৃণমূল কর্মীরা নাকি গুলি চালিয়েছে এমনই অভিযোগ উঠছে।

এদিকে সুপ্রিমো এনআরসি-র বিরুদ্ধে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে রাজ্য জুড়ে। পিকের তৃণমূল দলের এই দু’রকম আচরণকে কি করে নিয়ন্ত্রণ করবেন? সংখ্যালঘু ভোট নিয়ন্ত্রণ করবেন কি উপায়ে?

পশ্চিমবঙ্গের ভোট নিয়ন্ত্রক নিশ্চিতভাবে সংখ্যালঘুরা। সূত্রের খবর,তিনি বলে দিয়েছেন ৫০ শতাংশ কাউন্সিলর দুর্নীতিগ্রস্ত। এমএলএ-রাও তার মধ্যে আছেন। এসব কথা তিনি বারবার সুপ্রিমোকে বলছেন। পিকে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ যে কোন ধাতুতে তৈরি এটা বুঝতে নিশ্চিতভাবে বেসামাল হয়ে পড়ছেন তো বটেই কাহিলও হয়ে পড়ছেন।