দল! দল! দল! ক্ষমতা চাই, ক্ষমতা। দখল! দখল! দখল!এসবই মানুষ মারার কল। কার কত মস্তান আছে বল? তার তত শক্তি,তত পেশীবল

দলজীবী
তমাল সাহা

ছোটবেলা থেকেই
রামচন্দ্রের পক্ষ হয়ে গেলাম আমরা,
চলে গেলাম রাবণের বিপক্ষে।
শুধু তাই নয়,
গাইতে লাগলাম রামধুন।

মহাভারত পাঠে
পঞ্চপাণ্ডব হলো আমাদের বন্ধু
আর দুর্যোধন দুঃশাসনেরা শত্রু।
দ্রৌপদীকে কীভাবে পাঁচ ভাই মিলে
উপভোগ করতে হয় তা শিখলাম আমরা।

রক্তপাতে আমাদের কোনোদিনও
অনীহা ছিল না এখনও নেই।

বারণাবতের জতুগৃহ হল
আমাদের রাইখস্ট্যাগ।
পান্ডবদের মতো অজ্ঞাতবাসে চলে গেলেন আইনস্টাইন, ব্রেখট।
আমাদের কেউ চলে গেল লেনিনের দলে
কেউ গান্ধীজির দিকে তাকিয়ে
অহিংসা! অহিংসা! বলে চেঁচাতে লাগলো
কেউ নেতাজির পথে ঝুঁকে হয়ে গেল সশস্ত্র দেশপ্রেমিক।

একের পর এক ভূমিষ্ঠ
হতে লাগলো নেতা
আমরা নেতাদের পক্ষে গিয়ে বানাতে লাগলাম দল।
দলবাজি আমাদের পরম্পরা
আমাদের ঐতিহ্য।

আমাদের সাদৃশ্য এইখানে
আমরা সব বিভিন্ন দল।
ক্ষমতা যেদিকে সেদিকেই আমরা সকল।

এক হাতে আমাদের মানুষের পতাকা
অন্যহাতে মানুষ-মারা পিস্তল।