তোলা না পাওয়ায় সাট্টা মাফিয়াদের তান্ডব চলল নৈহাটি বিধানসভা অঞ্চলে

অবতক খবর,১৮ সেপ্টেম্বরঃ দুর্গাপুজোর আর হাতেগোনা মাত্র কয়েকদিন বাকি। বাংলার দুর্গা পুজো ইউনেস্কো স্বীকৃতি পেয়েছে। দেশ তো বটেই বিদেশ থেকেও মানুষ আসে দুর্গোৎসবের শামিল হতে। কিন্তু বাংলার এত নাম ডাক গোটা বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে পড়লেও বাংলায় কিন্তু দুষ্কৃতী তাণ্ডব কমেনি। বিগত দিনেই দেখা গেছে স্কুলে বোমাবাজি হয়েছে আবার কোথাও ধর্ষিতা হয়েছে ছয় বছরের ছোট শিশু কন্যা। প্রায় প্রতিদিনই কিছু না কিছু ঘটনা লেগে আছে, বিশেষ করে এই ব্যারাকপুর লোকসভা কেন্দ্রে।

ঠিক সেই রকমই দুষ্কৃতী তাণ্ডবের একটি ঘটনা এবার উঠে এলো। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন গভীর রাতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন আশীর্বাদ ভবনের ঢিল ছড়া দূরত্বে অবস্থিত জিও মার্ট। সেই জিও মার্টে কর্মরতদের ব্যাপক মারধর করলো কিছু দুষ্কৃতী।

শুধু মারধর নয়,ওই জিও মার্টে রীতিমতো তান্ডব চালায় দুষ্কৃতীরা। তছনছ করে দেওয়া হয় স্টোরটি। সঠিক কি কারণে এই ঘটনা ঘটলো তা জানা যায়নি।

তবে সূত্রের খবর, ওই জিও মার্টের পাশে একটি সাট্টার প্যাড রয়েছে। বিশ্বকর্মা পুজোর দিন রাতে ওই সাট্টার প্যাড যারা চালায় তাদের মধ্যে কয়েকজন জিও মার্টের কর্মীদের থেকে তোলা তুলতে আসে। আর তারা দিতে অস্বীকার করে। এরপরেই শুরু হয় বচসা এবং তারপরেই গন্ডগোল বেধে যায়। দুষ্কৃতীরা লোহার রড, বাস ইত্যাদি নিয়ে জিও মার্টের কর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। ব্যাপক মারধর করা হয় তাদের। এমনকি এও জানা গেছে যে সেখানে পরপর দুটি বোম চার্জ করা হয়।‌

আর এই ঘটনার পর অত্যন্ত আতঙ্কিত ওই জিও মার্টের কর্মীরা। ফলত তারা মুখ খুলতেও ভয় পাচ্ছে।

অন্যদিকে ঘটনার খবর পেয়ে এই ঘটনাস্থলে পৌঁছায় নৈহাটি শিবদাসপুর থানার পুলিশ।

এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত পুলিশ সূত্রে জানা গেছে,গ্রেপ্তার হয়েছে সাট্টার প্যাডের মালিকসজল। সেই নাকি বোমা মেরেছিল।এই ঘটনায় এখনো পর্যন্ত সজলসহ মোট ৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।